ইট পাথরের এই ব্যস্ত শহর নিয়ে ক্যাপশন ও স্ট্যাটাস

ইট পাথরের এই ব্যস্ত শহর নিয়ে ক্যাপশন ও স্ট্যাটাস

শহর নিয়ে ক্যাপশন – শহর নিয়ে স্ট্যাটাস | পৃথিবীর একেকটি শহরের রয়েছে আলাদা আলাদা গল্পকথা। কিছু থাকে ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ, কিছু আবার মনে হয় ইট পাথরের একটি জেলখানার মতো। কিছু শহরের সৌন্দর্য কেড়ে নেয় আমাদের মন। 

যাইহোক, শহরের ব্যস্ততায় অনেকের মনেই নানান আবেগ, অনুভূতি জাগ্রত হয়। সেই অনুভূতিগুলো আমরা বিভিন্ন স্ট্যাটাস কিংবা ক্যাপশনের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে থাকি। আপনার মনের এমন সব অনুভূতিগুলো প্রকাশের জন্যই এখানে বাছাই করা কিছু শহর নিয়ে ক্যাপশন – শহর নিয়ে স্ট্যাটাস সমূহ তুলে ধরা হলো।

ব্যস্ত শহর নিয়ে স্ট্যাটাস

(১)

এই শহরের ব্যস্ততা আমাকেও ব্যস্ত বানিয়ে দিয়েছে,

এমনকি নিজের সাথেই দেখা হয় না অনেকদিন।

আয়নায় তাকিয়ে নিজেকেও চিনতে কষ্ট হয় আজকাল।

(২)

ব্যস্ত শহরে সবাই যেন একটা সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াচ্ছে।

কেউ থামে না, কেউ দেখে না —

কে পড়ে গেল, কে আর উঠে দাঁড়াতে পারল না।

(৩)

এই শহরের সবকিছুই দ্রুত।

মানুষের মতোই ট্রাফিক, ক্লান্তির মতোই আলো।

থেমে যাওয়া এখানে অপরাধের মতো, হাঁটতে হয়, হাঁপিয়ে উঠলেও।

(৪)

ব্যস্ত শহর প্রতিদিনই কিছু মানুষকে গিলে ফেলে 

স্বপ্নে ভরা চোখগুলো ধীরে ধীরে নিঃশ্বাসে পরিণত হয়,

আর হৃদয়গুলো কেবল তাল মিলিয়ে বাঁচে।

(৫)

শহরটা এতটাই ব্যস্ত যে নিজের ছায়াকেও মনে হয় অপরিচিত।

আয়নায় তাকালে মনে পড়ে না,

শেষ কবে সত্যিকারের হাসি ছিল মুখে।

(৬)

এই শহর আমাদের সবকিছু দিয়ে দেয় —

কাজ, জীবনযাত্রা, লোকভর্তি রাস্তা;

কিন্তু বিনিময়ে নিয়ে নেয় সময়,

সম্পর্ক আর একটু নির্ভেজাল নিঃশ্বাস।

(৭)

ব্যস্ত শহরের সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার — 

এখানে কেউ কারো জন্য থামে না।

সবাই ছুটছে, কিন্তু কোথায় যাচ্ছে কেউই ঠিক জানে না।

(৮)

সকাল থেকে রাত অবধি চলতে থাকা এই শহরটা কখনো বিশ্রাম নেয় না।

আর তারই ভেতরে আমি, ক্লান্ত একজন মানুষ, একটু ঘুম খুঁজি।

(৯)

শহরের ব্যস্ততায় মানুষ এতটাই জড়িয়ে পড়ে্‌,

যে একদিন হঠাৎ করেই বুঝতে পারে —

সে অনেক আগেই হারিয়ে গেছে, শুধু খেয়াল ছিল না।

(১০)

ব্যস্ত শহরের ভিড়ে একটা চেনা মুখ খুঁজে পাওয়ার আশাটা —

এক ধরনের অলীক স্বপ্নের মতো —

আছে, কিন্তু ছোঁয়া যায় না।

(১১)

এই শহরে বেঁচে থাকা মানে প্রতিদিন নিজের কিছু অংশ বিসর্জন দেওয়া।

কেউ দেখে না, কেউ জানে না —

আমরা সবাই আসলে একটু একটু করে ভেঙে পড়ছি।

(১২)

যান্ত্রিক শহরের ব্যস্ততায় মানুষ যেন একটা প্রোগ্রামড রোবট — 

সময়মতো উঠা, দৌড়ানো, হাসা, ঘুমানো —

কিন্তু কবে শেষবার মন খুলে কেঁদেছি মনে নেই।

আরও পড়ুনঃ 

ইট পাথরের শহর নিয়ে ক্যাপশন

ইট পাথরের শহর নিয়ে ক্যাপশন

(১)

ইট-পাথরের এই শহরে প্রতিদিন বাঁচি,

কিন্তু প্রতিদিন একটু করে মরে যাই।

ভীড়ের মাঝে থেকেও বুকের ভেতরটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।

(২)

ইট-পাথরের শহর আমাকে বড় করেছে, স্বপ্ন দেখিয়েছে।

আবার এই শহরটাই আমাকে ছিঁড়ে খেয়েছে —

ভালোবাসার নামে, প্রতিশ্রুতির নামে, বিশ্বাস ভেঙে।

(৩)

এ শহরে কেউ কারো নয়, তবু আমরা মুখে হাসি এঁকে রাখি।

কারণ এখানে দুর্বল হলে টিকে থাকা যায় না,

অনুভূতি দেখালে মানুষ হাসে।

(৪)

যখন ছোট ছিলাম, শহরটা অনেক বড় মনে হতো। 

এখন বড় হয়েছি, শহরটা আগের মতোই আছে —

শুধু মানুষগুলো ছোট হয়ে গেছে।

(৫)

ইট আর পাথরের ভেতর লুকানো থাকে হাজারো না বলা গল্প।

আমি হাঁটি, দেখি, শুনি — 

কিন্তু কেউই শোনে না আমার মনের ভিতরের আওয়াজ।

(৬)

ইট-পাথরের শহরে দাঁড়িয়ে আমি এখনো খুঁজি সেই এক চিলতে সবুজ,

যেখানে নিঃশ্বাস নিলে বুকটা একটু হালকা লাগতো।

এখন সবকিছুই ভারী, খুব ভারী।

(৭)

ইট-পাথরের শহর অনেক কিছু দিয়েছে —

টাকা, নাম, ব্যস্ততা। কিন্তু শান্তি?

ওটা যেন রেখে গেছে কোনো মফস্বলের দুপুরে,

যেটা আর ফিরে পাই না।

(৮)

ইট-পাথরের শহরে দাঁড়িয়ে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা —

মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজি।

সবাই ব্যস্ত, অথচ একা থাকার এই অনুভূতি্‌ 

যেন আরও জোরে চিৎকার করে।

(৯)

এই শহরের ইটগুলো গল্প বলতে জানে না,

জানে কেবল ঠান্ডা হয়ে থাকতে।

আমি তাই রাতের শহরে আলো খুঁজি,

একটু উষ্ণতার আশায়।

(১০)

ইট-পাথরের শহরে দৌড়ানো মানুষগুলো আসলে কোথায় যাচ্ছে জানে না।

সবাই শুধু ছুটছে, কেউ থেমে জিজ্ঞেসও করে না —

“তুই কেমন আছিস?”

(১১)

ইট-পাথরের শহর বড্ড গাঢ়।

এখানে ভালোবাসাও যেন সিমেন্টে মোড়া —

ঠান্ডা, নির্জীব, আর সময় হলে চিরে ফেলে যায় ভিতরের নরমটুকু।

(১২)

ইট-পাথরের শহরে প্রতিদিনই কিছু হারাই —

কখনো সময়, কখনো সম্পর্ক।

আর যেগুলো বাঁচিয়ে রাখি,

সেগুলোও কেবল স্মৃতির ধুলোয় ঢাকা পড়ে যায়।

(১৩)

ইট-পাথরের শহর ঠান্ডা হলেও,

আমার ভেতরে একটা আগুন জ্বলছে —

যেটা আমাকে প্রতিদিন বাঁচতে শেখায়,

প্রতিদিন একটু করে গড়ে তোলে।

আরও পড়ুনঃ

শহর নিয়ে ক্যাপশন

(১)

এই শহরে সবাই কারও না কারও জন্য অপেক্ষা করে।

কেউ বাস ধরার জন্য, কেউ ফোন কলের জন্য,

আর আমি শুধু অপেক্ষা করি একটু অন্তরঙ্গ নীরবতার।

(২)

কখনো কখনো মনে হয়, এই শহরটা নিঃশব্দ চিৎকারে ভরা।

শব্দ আছে, অনুভব নেই।

আলো আছে, কিন্তু কারও চোখে উষ্ণতা নেই।

(৩)

এই শহরের রাস্তা চেনে আমার একাকিত্ব, প্রতিদিন হাঁটি, অথচ কোথাও পৌঁছাই না।

চারপাশে মানুষ, কিন্তু পাশে বসে গল্প শোনার কেউ নেই।

(৪)

এই শহরের ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখি, মনে হয় মুক্তি হয়তো ঐখানে আছে।

অথচ পায়ে বাঁধা দায়িত্ব, সম্পর্ক, আর কিছু অসমাপ্ত গল্প।

(৫)

শহরের বিল্ডিং যত উঁচু হয়, মানুষের মন যেন ততটাই নিচু হয়ে যায়।

এখানে ভালোবাসা নেই, আছে কেবল দরকারি কিছু সংলাপ।

(৬)

এই শহর আমাকে শিখিয়েছে — সবাই আসে, কেউই থাকে না।

রাস্তার মোড়ে গড়ে ওঠে গল্প,

আর ঠিক সেখানেই শেষ হয় অচেনা সম্পর্কগুলো।

(৭)

শহরের আলো এত ঝকঝকে, অথচ নিজের মনটাই অন্ধকারে ডুবে থাকে।

চারপাশে কোলাহল, কিন্তু ভেতরে কেবল একা একা নিঃশব্দ চিৎকার।

রাতের শহর নিয়ে ক্যাপশন

(১)

রাতের শহরটা বড় মায়াবী, চারদিকে আলো ঝলমল।

কিন্তু সেই আলোতে মুখ চেনা যায়, মন চেনা যায় না —

সবাই শুধু ছায়া হয়ে বেঁচে থাকে।

(২)

শহর যখন রাতের নীরবতায় ঢেকে যায়,

তখন মানুষ নিজেকেই সবচেয়ে বেশি অনুভব করে।

চারপাশে যত আলো,

তার মাঝেও এক ধরনের কুয়াশা জমে থাকে মনে।

(৩)

রাতের শহরটা নিঃশব্দ এক চিৎকারের মতো।

বাইরের কোলাহল থেমে গেলেও,

ভেতরের কথাগুলো তখনই সবচেয়ে জোরে শোনা যায়।

(৪)

আলোয় মোড়া এই রাতের শহরটা কেবল বাহির থেকে সুন্দর।

ভেতরে ঢুকলে টের পাওয়া যায় —

এখানে মানুষ হাঁটে মুখোশ পরে, নিঃসঙ্গতা বুকে চেপে।

(৫)

রাতের শহর এক ধরনের প্রতারণা শেখায় —

আলো দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখে,

আর অন্ধকারে আসল চেহারা দেখিয়ে বলে,

“এই তো তুই, একা।”

(৬)

রাত যত গভীর হয়, শহরের মুখোশগুলো তত খুলে পড়ে।

তখন চেনা রাস্তাও অচেনা লাগে,

আর নিজের ভেতরের কণ্ঠটা একটু জোরে বলে ওঠে।

(৭)

এই শহরে রাতের সময়টুকু যেন একটা আত্মার মতো — চুপচাপ পাশে থাকে,

কিন্তু মাঝেমধ্যে এমনভাবে জড়িয়ে ধরে,

যে নিজেকেই আর আলাদা করতে পারি না।

(৮)

রাতের শহরে কেউ ঘুমায়, কেউ জেগে থাকে।

আর কেউ কেউ শুধু জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভাবে —

“এই নীরবতাই কি আসলে আমার সত্যিকারের সঙ্গী?”

(৯)

শহরের ব্যস্ততা রাতের নীচে থেমে গেলেও, 

কিছু চেহারা ঠিক জ্বলতে থাকে স্মৃতির মতো।

রাত যত বাড়ে, পুরনো কথাগুলো তত স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

(১০)

রাতের শহরটা এমন এক নাট্য মঞ্চ,

যেখানে সবাই চুপচাপ অভিনয় করে।

কেউ ভালোবাসা লুকায়, কেউ কান্না,

কেউ শুধুই হাঁটে গন্তব্যহীন।

(১১)

রাতের আলো-আঁধারিতে শহরের প্রতিটি কোণ নিঃশব্দ কিছু গল্প বলে।

কেউ শুনে, কেউ ভাবে, আর কেউ কেবল নীরব থেকে সেই গল্পেরই একটা চরিত্র হয়ে যায়।

(১২)

রাতের শহরের সৌন্দর্য বাইরের চোখে,

কিন্তু ভেতরের মানুষগুলো জানে —

এই আলো যতটা ঝলমলে,

তার দ্বিগুণ তীব্র অন্ধকার লুকিয়ে থাকে প্রতিটি চৌরাস্তায়।

About Sajjad Hossain