ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও বিধানসমূহ 

মুসলমানদের প্রাণের প্রিয় দুটি ইসলামিক উৎসব হলো ঈদ। আমরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, রমজানের পর ‘ঈদুল ফিতর’ এবং আরাফা দিবসের পর ‘ঈদুল আযহা’ পালন করে থাকি। ঈদের দিনের বিশেষ ইবাদত হচ্ছে ঈদের নামাজ। সকল মুসলমানের জন্যই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও বিধানসমূহ জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ৫৬ টি মুসলিমপ্রধান দেশে এবং সমগ্র পৃথিবীর প্রায় ১৯০ কোটি মানুষের মাঝে ঈদ পালিত হয়। মহান আল্লাহ তায়ালার মনোনীত এই দিনগুলোতে সঠিকভাবে ঈদের সালাত আদায় করার মাধ্যমে বিশেষভাবে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। তাই সহি-শুদ্ধভাবে ও ইসলামিক নীতিমালা অনুসরণ করে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও বিধানসমূহ সম্পর্কে জেনে নিন এই লেখা থেকে।

ঈদের নামাজ

ঈদের দিনে মহান আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য সমবেতভাবে আদায় করা সালাতই ঈদের নামাজ। 

জাহিলীযুগের উৎসব-পার্বন ও নতুন আবিষ্কৃত উৎসব-পার্বনের পরিবর্তে আল্লাহ তা’আলা ‘ঈদুল ফিতর’ ও ‘ঈদুল আযহা’ -এ দুই ঈদ বিধিবদ্ধ করেছেন। 

ঈদের নামাজ
ঈদের নামাজ

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাযি.) বলেন, জাহিলীযুগে বছরে দুটি দিবস ছিল যেখানে তারা খেল-তামাশা করতো। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন মদীনায় এলেন, তিনি বললেন, তোমাদের দুটি দিবস ছিল, যাতে তোমরা খেলতে। আল্লাহ তা’আলা ওই দুটি দিবস পরিবর্তন করে তোমাদের জন্য উত্তম দিবস দিয়েছেন; ঈদুল ফিতর দিবস ও ঈদুল আযহা দিবস।” (নাসায়ী) 

কাফিরদের ঈদে অংশ নেয়া বৈধ নয়। কারন, এটি কোনো ধর্ম, বিধান বা জীবন পদ্ধতির স্পষ্টতম আলামত। এই ঈদে নারী-পুরুষ সকলে সম্মিলিতভাবে এবং হালাল পন্থায় উৎসবমুখর পরিবেশ উদযাপন করে এবং ঈদের সালাত আদায় করে। 

ঈদের নামাজের নিয়ত আরবিতে

বস্তুত আরবিতে ঈদের নামাজের নিয়ত করা তূলনামূলক কঠিন। তাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবুও বাংলাদেশে ঈদের নামাজের জন্য একটি নির্ধারিত নিয়তের প্রচলন রয়েছে। এটি হলো:

আরবি: نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

আরবি নিয়তের বাংলা উচ্চারণ: “নাওয়াইতু-আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকআতাই সালাতিল ঈদিল ফিত্-রি মাআ ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা’আলা ইকতাদাইতু বিহাযাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।”

ঈদের নামাজের নিয়ত বাংলায় 

নিয়ত অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই অন্তর বা মন থেকে নিম্নোক্তভাবে নিজের মাতৃভাষায় নিয়ত করা যায়:

আমি কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সহিত এই ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি- ‘আল্লাহু আকবার’।

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ দু রাকাত। এই নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই। তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে। ঈদের নামাজের নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো:

১ম রাকাতের নিয়ম:

  • প্রথমে ঈদের নামাজের নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা- “আল্লাহু আকবার” বলে হাত বাঁধবে।
  • তারপর যথানিয়মে ‘সানা পড়বে’। (“সুব্-হানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া-বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতা’আলা যাদ্দুকা ওয়া-লা ইলাহা গাইরুকা।”)
  • এবার অতিরিক্ত ৩টি তাকবির দিবে। এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা উত্তম। ১ম ও ২য় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দিবে এবং ৩য় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বাঁধবে।
  • তারপর আউযুবিল্লাহ্ ও বিসমিল্লাহ্ সম্পূর্ণরূপে পড়বে এবং সূরা- ‘আল ফাতিহা’ পড়ে এর সাথে অন্য একটি সূরা মিলাবে। 
  • (সুন্নাত পদ্ধতি অনুযায়ী, ১ম রাকাতে সূরা- ‘আল ফাতিহা’র পর সূরা- ‘আল আলা’ পড়া এবং ২য় রাকাতে সূরা- ‘আল গাশিয়াহ’ পড়া। অথবা ১ম রাকাতে সূরা- ‘ক্বাফ’ পড়া ও ২য় রাকাতে সূরা- ‘আল কামার’ পড়া।)
  • অতঃপর অন্যান্য নামাজের মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।

২য় রাকাতের নিয়ম: 

  • বিসমিল্লাহ্ পড়ে, সূরা- ‘আল ফাতিহা’ পড়বে এবং অন্য একটি সূরা মিলাবে।
  • কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত ৩টি তাকবীর দিবে। প্রথম ২টি তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দিবে। তারপর ৩য় তাকবির দিয়ে হাত বাঁধবে।
  • এবার রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাবে।
  • অতঃপর অন্যান্য নামাজের মতো রুকু ও সিজদা আদায় করবে। 
  • শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করবে।

২ রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ৬টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই।

নামাজ শেষ করার পর ইমাম মিম্বারে উঠবে। ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম দুটি খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন। দুটি খুতবার মাঝে সামান্য সময়ের জন্য বসবে। ১ম খুতবা ৯ তাকবীরের সাথে শুরু করবে এবং ২য় খুতবা ৭ তাকবীরের সাথে শুরু করবে।

ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব | দুই ঈদের নামাজের হুকুম 

ইসলামের হুকুম অনুযায়ী ঈদের নামাজ ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এই নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের পাশাপাশি নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদেরকেও ঈদের নামাজে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হায়েযগ্রস্ত নারীদেরকেও ঈদের মাঠে নিয়ে যেতে বলেছেন, যদিও তারা নামাজ পড়বে না।

ঈদের নামাজের মুস্তাহাবসমূহ

ঈদের দিন বাড়তি সাওয়াব অর্জনের জন্য কিছু মুস্তাহাবসমূহ রয়েছে। যথা:

  • ইমাম ছাড়া অন্যান্য সকল মুসল্লীরা সকালে তাড়াতাড়ি ঈদগাহে আসবে এবং প্রথম কাতারের দিকে অগ্রসর হবে।
  • সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাবে। 
  • এক পথে ঈদগাহে যাবে এবং অন্য পথে ফিরে আসবে। জাবির (রাঃ) -থেকে বর্ণিত, “ঈদের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাওয়া-আসার রাস্তায় পার্থক্য করতেন।” (বুখারী শরীফ)
  • ঈদুল ফিতরের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে বিজোড় সংখ্যায় খেজুর খাওয়া (৩/৫/৭)। আর ঈদুল আযহায় নামাজ থেকে ফিরে আসার আগে কিছু না খাওয়া
  • ঈদুল ফিতরের নামাজ দেরিতে আদায় করা মুস্তাহাব। যাতে মানুষ সদকায়ে ফিতর আদায় করতে পারে এবং হকদারদের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারে। অন্যদিকে, ঈদুল আযহার নামাজ সকাল-সকাল আদায় করা মুস্তাহাব।

দুই ঈদের আহকাম সমূহ 

(১) ঈদগাহে ঈদের নামাজের আগে ও পরে, নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। তবে ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করলে, মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়াতু মসজিদ পড়া যাবে।

(২) যে ব্যক্তির ঈদের নামাজ সম্পূর্ণ বা আংশিক ছুটে গেল, তার জন্য সুন্নত হলো ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম অনুসরণ করে তা কাযা করে নেওয়া। অর্থাৎ অতিরিক্ত তাকবীরসহ দু রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করা। যে অংশ ছুটে গেল, সে অংশও ঈদের নামাজের নিয়ম অনুসারে আদায় করে পূর্ণ করতে হবে।

(৩) রমজান শেষে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের উপর তাকবীরের (আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণার) বিধান রেখেছেন। (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু; আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,  ওয়ালিল্লাহিল হামদ্)

(৪) পুরুষদের জন্য উঁচু আওয়াজে তাকবীর দেওয়া সুন্নত। আর নারীদের জন্য গোপনে তাকবীর দেওয়া সুন্নত। কারন, নারীদেরকে আওয়াজ নিচু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাকবীর শুরু হবে ঈদের রাতে সূর্যাস্তের পর থেকে ঈদের নামাজ শুরু হওয়া পর্যন্ত। 

ঈদের নামাজে ভুল হলে করনীয়

সাধারণত নামাযে কোনো ফরয ছুটে গেলে তা নামাযের ভেতরেই সালাম ফেরানোর পূর্বে দোহরিয়ে নিতে হয়। অন্যথায়, নামাজ আদায় হবে না এবং পুনরায় পড়তে হবে। আর যদি নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে যায় তাহলে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়। তবে জুম’আ ও ঈদের নামাযে কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

এক্ষেত্রে, ঈদের জামাত যদি বড় হয় এবং ইমাম সাহেব সিজদায়ে সাহু করলে মুক্তাদীরা বিভ্রান্তিতে পড়ে যাওয়া কিংবা মাসা’আলা না জানার দরুন ভুল বোঝাবোঝির আশংকা থাকে, তাহলে সিজদায়ে সাহু না করলেও নামায সহীহ হবে৷ অন্যদিকে, যদি জামাত ছোট হয় অথবা সিজদায়ে সাহু করলে মুক্তাদিদের বিভ্রান্তিতে পড়ারও কোনো আশংকা না থাকে, বরং সিজদায়ে সাহু না করলে বিভ্রান্তি ও হট্টগোল হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে সিজদায়ে সাহু করতে হবে৷

মহিলাদের ঈদের নামাজের নিয়ম আছে কি?

মহিলাদের উপর ঈদের নামায ওয়াজিব নয়, বরং সুন্নত। মহিলারা মুসলমান পুরুষদের সাথে ঈদগাহে ঈদের নামায আদায় করবেন। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন। 

সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম এবং অন্যান্য গ্রন্থে উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন- “আমাদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল” অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে “তিনি (রাসুলুল্লাহ (সাঃ)) আমাদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক কুমারী মেয়ে, অন্তপুরবাসিনী তরুনীদেরকে দুই ঈদের সময় (ঈদগাহে) নিয়ে যেতে এবং ঋতুবতী নারীদেরকে নামাযের জায়গা থেকে দূরে থাকতে।” (সহিহ বুখারী: ১/৯৩; সহিহ মুসলিম: ৮৯০)।

তিরমিযির বর্ণনায় এসেছে- “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) -অবিবাহিত নারী, প্রাপ্তবয়স্ক কুমারী মেয়ে, অন্তপুরবাসিনী তরুনী, ঋতুবতী নারীদেরকে দুই ঈদের সময় ঈদগাহে হাজির হতে বলতেন। তবে হায়েযগ্রস্তরা নামাজ থেকে বিছিন্ন থাকতো এবং তারা মুসলমানদের সাথে দুআয় অংশগ্রহণ করতো।” জনৈক নারী বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! যদি কোন নারীর জিলবাব (বোরকা) না থাকে? তিনি বললেন: তাহলে তার কোন বোন যেন তাকে নিজের কোন একটি জিলবাব ধার দেয়।” (সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম)। 

আরও পড়ুন: জানাযার নামাজের দোয়া এবং জানাজার নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে?

ঈদের নামাজ না পড়তে পারলে কিংবা নামাজ ছুটে গেলে, তার কাযা করতে হবে না। কারন, ঈদের নামাজের জন্য শর্ত হলো জামায়াতে পড়া। তবে বেশকিছু লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে বা নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে, তারা অন্য একজনকে ইমাম বানিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

শেষকথা

উপরোক্ত ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম অনুসরণ করে শুদ্ধ ভাবে সালাত আদায় করা সকলেরই কর্তব্য। ঈদের দিনে এমন কোনো গর্হিত কাজ করা যাবে না, যা ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের বিপরীত। ঈদের সালাতের পাশাপাশি ফরয সালাত গুলোও আদায় করতে হবে এবং হারাম কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

About Durud Ahmed

সম্মানিত ভিজিটর আমি দুরুদ আহমেদ,পেশায় আমি একজন ব্লগ লেখক। প্রযুক্তি ও শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, লাইফস্টাইল এবং ইসলামিক লেখাই আমার প্রিয়। এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটরদের সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য।