হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি

হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি

আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি সমূহ। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। হুমায়ুন আহমেদের উক্তি মানব জীবনকে পরিবর্তন করতে উদ্বুদ্ধ করে। হুমায়ুন আহমেদের উক্তির মধ্যে রয়েছে অনেক শিক্ষা। তিনি গ্রন্থাগারে আমাদের জন্য অনেক বই ও গ্রন্থ রচনা করে গিয়েছেন।

বিংশ শতাব্দীর বাঙালি কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে একজন অন্যতম কথা সাহিত্যিক ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হুমায়ূন আহমেদকে বাংলার শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়।

হুমায়ূন আহমেদ সর্ম্পকে

হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বাংলা কথা সাহিত্যে সংলাপ প্রধান নতুন শৈলীর জনক এবং আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনীর পথিকৃৎ ছিলেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার রচিত মিসির আলি এবং হিমু নামের দুটি চরিত্র বাংলা সাহিত্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেন।
হুমায়ূন আহমেদ ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরোকে’ দিয়ে কথা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনেন। বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, একদিকে যেমন ঔপন্যাসিক, অন্যদিকে লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, নাট্যকার এবং রসায়নের অধ্যাপকও ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদের উক্তিগুলি মানুষের চলার পথে ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা যোগায়। এখানে হুমায়ূন আহমেদের কিছু বিশেষ উক্তি তুলে ধরা হল। তিনি ১৯ জুলাই ২০১২ সালে নিউইয়র্কে ক্যান্সারে মারা যান।

হুমায়ূন আহমেদ এর বিখ্যাত উক্তি

হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি

বয়সকালে মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল!

কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়.. তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না.. তাদের কিছু অবাক্ত কথা মনের গভীরেই রয়ে যায় .. আর কিছু কিছু স্মৃতি – এক সময় পরিনত হয় দীর্ঘ শ্বাসে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।

কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়, এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে পুষে রাখে।

তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ।

অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।
হুমায়ূন আহমেদ
পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে। কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।

যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়, মানসিক কষ্ট।

কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়।

সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!

মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার মত মনে লেগে থাকে ব্যথা দেয় না,অস্বস্তি দেয়।

লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড় করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই। পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।

মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।

কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত।

মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।

চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।

প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে।

মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়।
বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল।
সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।

মায়ের গায়ে কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে, সন্তান কখনও না।

মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস নিয়ে মাতামাতি করা।

আমার সঙ্গে কি আছে জানিস? পদ্ম। নীলপদ্ম। পাচটা নীলপদ্ম নিয়ে ঘুরছি। কি অপূর্ব পদ্ম। কাউকে দিতে পারছিনা। দেয়া সম্বব নয়. হিমুরা কাউকে নীলপদ্ম দিতে পারে না।

হিমুর প্রতিটি কথা ভুয়া। সত্যি কথা সে অতীতে কোনোদিন বলেনি। ভবিষ্যতেও বলবে না।

মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকে – বিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়। কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না। প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে আসে।

Humayun Ahmed

আমি কখনো অতিরিক্ত কিছুদিন বাঁচার জন্য সিগারেটের আনন্দ ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ভেবে রেখেছিলাম ডাক্তারকে বলব, আমি একজন লেখক। নিকোটিনের বিষে আমার শরীরের প্রতিটি কোষ অভ্যস্ত। তোমরা আমার চিকিৎসা করো, কিন্তু আমি সিগারেট ছাড়ব না। তাহলে কেন ছাড়লাম? পুত্র নিনিত হামাগুড়ি থেকে হাঁটা শিখেছে। বিষয়টা পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। দু-এক পা হেঁটেই ধুম করে পড়ে যায়। ব্যথা পেয়ে কাঁদে। একদিন বসে আছি। টিভিতে খবর দেখছি। হঠাৎ চোখ গেল নিনিতের দিকে। সে হামাগুড়ি পজিশন থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। তার ছোট্ট শরীর টলমল করছে। যেকোনো সময় পড়ে যাবে এমন অবস্থা। আমি ডান হাত তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই সে হাঁটা বাদ দিয়ে দৌড়ে হাতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজয়ের ভঙ্গিতে হাসল। তখনই মনে হলো, এই ছেলেটির সঙ্গে আরও কিছুদিন আমার থাকা উচিত। সিগারেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত সেই মুহূর্তেই নিয়ে নিলাম।

দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের দিকে এখন আর আগের মতো ভয়-মিশ্রিত শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু ভাবে।

হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।

আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা করি. যখন খুব ক্লান্তি অনভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে এক জন তরুনি ছুটে চলে যায় এক বার শুধু থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই তরুনীটি আমার মা. আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন।

সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।

বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না!

সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা হয়।

মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুদ কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে।

দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।

বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়।

শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না। তারপরেও সব মানুষই কোনও না কোনও সময় অনুভব করে তার হাত পায়ে কঠিন শিকল। শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে। ভাবে, মুক্তি পাওয়া গেল। দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে। এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায়।

বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়।

কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।

যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয় করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে পারে।

উপদেশমূলক উক্তি

হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি

সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।

ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।

জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও নাও কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।

দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।

মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই পৃথিবীর আসল রূপ দেখতে পায়।

কান্নার সঙ্গে তো সমুদ্রের খুব মিল আছে। সমুদ্রের জল নোনা। চোখের জল নোনা। সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। কান্নাও আসে ঢেউয়ের মতো। যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।

যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।

কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে। যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।

পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোনও পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোনও মেয়ে যদি বলে শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।
তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’

কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মতো।

পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ‘মা’ এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।

যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।

যা পাওয়া যায়নি, তার প্রতি আমাদের আগ্রহের সীমা থাকে না। মেঘ আমরা স্পর্শ করতে পারি না বলেই মেঘের প্রতি আমাদের মমতার সীমা নেই।

মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ।

মেয়েদের আসল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার, ঐ পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে সব পাশ!

তুমি যখন ভালো করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে।

গাধা এক ধরনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ-পরিচিতদের গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। প্রিয় বন্ধুদেরই গাধা বলা যায়। এতে প্রিয় বন্ধুরা রাগ করে না বরং খুশি হয়।

মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।

ভালবাসার মানুষের সাথে বিয়ে না
হওয়াটাই বোধ হয় ভাল। বিয়ে হলে মানুষটা
থাকে ভালবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে
না হয় তাহলে হয়ত বা ভালবাসাটা
থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং
ভালবাসা এই দুয়ের মধ্যে ভালবাসাই হয়ত
বেশি প্রিয়।

শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয়
না। তারপরেও সব মানুষই কোনও না
কোনও সময় অনুভব করে তার হাত পায়ে
কঠিন শিকল। শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার
বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে ।
ভাবে, মুক্তি পাওয়া গেল। দশতলা বাড়ির
ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে
ফুটপাতে। এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল
ভাঙার তৃপ্তি পায় ।

বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে
লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়।
সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক
আলাপ আলোচনা হয়।

কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয়
তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও
তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে
না। সব মানুষই আলাদা।

যে মানব সন্তান ক্ষুদ্র কামনা জয়
করতে পারে সে বৃহৎ কামনাও জয় করতে
পারে।

হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা
যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু
হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে
হাসে।

মেয়েদের অনেক গুণের মধ্যে বড় গুণ
হলো এরা খুব সুন্দর করে চিঠি লিখতে
পারে। কথাবার্তায় নিতান্ত এলোমেলো
মেয়েও চিঠি লেখায় গোছানো। মেয়েদের
চিঠিতে আরেকটা ব্যাপার থাকে –
বিষাদময়তা। নিতান্ত আনন্দের সংবাদ
দিয়ে লেখা চিঠির মধ্যেও তারা জানি কী
করে সামান্য হলেও দুঃখ মিশিয়ে দেয়।
কাজটা যে তারা ইচ্ছা করে করে তা না।
প্রকৃতি তাদের চরিত্রে যে বিষাদময়তা
দিয়ে রেখেছে তাই হয়তো চিঠিতে উঠে
আসে।

আরও পড়ুন: মন খারাপের স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

আরও দেখুন: ভাগ্য নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

হুমায়ূন আহমেদ এর বাচাইকৃত কিছু উক্তি

আমি কখনো অতিরিক্ত কিছুদিন
বাঁচার জন্য সিগারেটের আনন্দ ছাড়ার জন্য
প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ভেবে
রেখেছিলাম ডাক্তারকে বলব, আমি একজন
লেখক। নিকোটিনের বিষে আমার শরীরের
প্রতিটি কোষ অভ্যস্ত। তোমরা আমার
চিকিৎসা করো, কিন্তু আমি সিগারেট
ছাড়ব না। তাহলে কেন ছাড়লাম? পুত্র
নিনিত হামাগুড়ি থেকে হাঁটা শিখেছে।
বিষয়টা পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। দু-এক
পা হেঁটেই ধুম করে পড়ে যায়। ব্যথা পেয়ে
কাঁদে। একদিন বসে আছি। টিভিতে খবর
দেখছি। হঠাৎ চোখ গেল নিনিতের দিকে।
সে হামাগুড়ি পজিশন থেকে উঠে
দাঁড়িয়েছে। হেঁটে হেঁটে এগিয়ে আসছে
আমার দিকে। তার ছোট্ট শরীর টলমল
করছে। যেকোনো সময় পড়ে যাবে এমন
অবস্থা। আমি ডান হাত তার দিকে
বাড়িয়ে দিতেই সে হাঁটা বাদ দিয়ে
দৌড়ে হাতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে
বিশ্বজয়ের ভঙ্গিতে হাসল। তখনই মনে
হলো, এই ছেলেটির সঙ্গে আরও কিছুদিন
আমার থাকা উচিত। সিগারেট ছাড়ার
সিদ্ধান্ত সেই মুহূর্তেই নিয়ে নিলাম।

দিনকাল পাল্টে গেছে, এখন আর মানুষ
আগের মতো নাই।মওলানা ধরনের মানুষের
দিকে এখন আর আগের মতো ভয়-মিশ্রিত
শ্রদ্ধার চোখে কেউ তাকায় না। মওলানাও
যে বিবেচনায় রাখার মতো একজন, কেউ
তাও বোধহয় মনে করে না। ছল্টুফল্টু
ভাবে।

বড় বোকামিগুলি বুদ্ধিমান মানুষরাই
করে।

প্রেমে পড়া মানে নির্ভরশীল হয়ে
পড়া। তুমি যার প্রেমে পড়বে সে তোমার
জগতের একটা বিরাট অংশ দখল করে নেবে।
যদি কোনো কারণে সে তোমাকে ছেড়ে
চলে যায় তবে সে তোমার জগতের ঐ বিরাট
অংশটাও নিয়ে যাবে। তুমি হয়ে পড়বে শূণ্য
জগতের বাসিন্দা।

হিমু কখনও জটিল পরিস্থিতিতে পড়ে
না। ছোটখাট ঝামেলায় সে পড়ে। সেই সব
ঝামেলা তাকে স্পর্শও করে না। সে
অনেকটা হাসেঁর মত। ঝাড়া দিল গা থেকে
ঝামেলা পানির মত ঝরে পড়ল।

আমার খুব শখ বড় রকমের ঝামলায় পড়লে
সে কি করে। কাজেই হিমুর জন্য বড় ধরনের
একটা সমস্যা আমি তৈরি করেছি। এবং খুব
আগ্রহ নিয়ে তার কান্ড-কারখানা
দেখেছি।

বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে।
বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব
মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো
কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর
তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।

চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া
কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও
প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের
প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।

আমার সমস্যার কথা রুপাকে কি আমি
বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি- আমার
বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন
আমি পথে পথে ঘুরি। মহাপুরুষ হবার সাধনা
করি, যখন খুব ক্লান্তি অনুভব করি তখন একটি
নদীর স্বপ্ন দেখি। যে নদীর জল ছুয়ে ছুয়ে
এক জন তরুনি ছুটে চলে যায়, একবার শুধু
থমকে দাড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার
চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ। এই
তরুনীটি আমার মা, আমার বাবা যাকে
হত্যা করেছিলেন।

এই সব কথা রুপাকে বলার কোনো অর্থ হয়
না, বরং কোনো কোনো দিন তরঙ্গিনী
স্টোর থেকে টেলিফোন করে বলি- রুপা,
তুমি কি এক্ষুনি নীল রঙের একটা শারি পরে
তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের
দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে
ইচ্ছা করছে। একটুখানি দাড়াও। আমি
তোমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে
হেটে চলে যাব, আমি জানি রুপা আমার
কথা বিশ্বাস করে না, তবুও যত্ন করে শারি
পরে, চুল বাধে। চোখে কাজলের ছোয়া
লাগিয়ে কার্নিশ ধরে দাড়ায়। সে
অপেক্ষা করে, আমি কখনো যাই
না.আমাকে তো আর দশটা ছেলের মত হলে
চলবে না, আমাকে হতে হবে অসাধরণ।আমি
সারাদিন হাটি। আমার পথ শেষ হয় না.
গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ
থাকার তো কথাও নয়।

সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হলো,
আসাদুল্লাহ সাহেবের নীলপদ্ম থিউরি ঠিক
আছে। এই তরুণী তার সমস্ত নীলপদ্ম হিমু
নামের এক ছেলের হাতে তুলে দিয়ে তীব্র
কষ্ট ও যন্ত্রণার ভেতর বাস করছে। এই
যন্ত্রণা, এই কষ্ট থেকে তার মুক্তি নেই।

মেয়েরা ভয়ঙ্কর দুর্যোগেও সাজ ঠিক
রাখতে ভোলে না।

ভালোবাসা আর ঘৃণা আসলে একই
জিনিস। একটি মুদ্রার এক পিঠে
“ভালোবাসা” আরেক পিঠে লেখা ঘৃণা।
প্রেমিক প্রেমিকার সামনে এই মুদ্রা
মেঝেতে ঘুরতে থাকে। যাদের প্রেম যতো
গভীর তাদের মুদ্রার ঘূর্ণন ততো বেশি। এক
সময় ঘূর্ণন থেমে যায় মুদ্রা ধপ করে পড়ে
যায়। তখন কারো কারোর ক্ষেত্রে দেখা
যায় “ভালোবাসা” লেখা পিঠটা বের
হয়েছে, কারো কারো ক্ষেত্রে ঘৃণা বের
হয়েছে। কাজেই এই মুদ্রাটি যেন সবসময়
ঘুরতে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ঘূর্ণন
কখনো থামানো যাবে না।

ওর কিছু নিজস্ব বিচিত্র লজিক আছে।
সে ঐ লজিকে চলে । অন্য কারো কথাই
শোনেনা । আমার কথাও শুনবেনা ।

চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও
আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার
ফিরে আসে। ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা
অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার
ফিরে আসে।

কয়েক মুহুর্তের জন্যে আমার ভেতর এক
ধরনের বেভ্রম তৈরী হল। মনে হল আমার আর
হাটার প্রয়োজন নেই। মহাপুরুষ না, সাধারণ
মানুষ হয়ে মমতাময়ী এই তরুনিতির পাশে
এসে বসি। যে নীলপদ্ম হাতে নিয়ে জীবন
শুরু করেছিলাম, সেই প্দ্ম্গুলি তার হাতে
তুলে দেই. তারপরেই মনে হলো – এ আমি কি
করতে যাচ্ছি! আমি হিমু – হিমালয়।

পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে,
কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।

যে ভালোবাসা না চাইতে পাওয়া
যায়, তার প্রতি কোনো মোহ থাকে না।

গল্প-উপন্যাস হলো অল্পবয়েসী
মেয়েদের মাথা খারাপের মন্ত্র।

ঝর বৃষ্টির রাত হলেই এলিটা আমার
সঙ্গে পক্খিমানবের সন্ধানে বের হয়।মানব
জাতির সমস্যা হচ্ছে তাকে কোনো না
কোনো সন্ধানে জীবন কাটাতে হয়। অর্থের
সন্ধান, বিত্তের সন্ধান, সুখের সন্ধান,
ভালবাসার সন্ধান, ইশ্বরের সন্ধান। আমি
আর এলিটা সন্ধান করছি সামান্য
পক্খিমানবের।

হিমু ভাই! ”বল”যাবার আগে আপনি কি
বলে যাবেন আপনি কে?’ আমি বললাম,
‘মারিয়া, আমি কেউ না। I am nobody.’ আমি
আমার এক জীবনে অনেককে এই কথা বলেছি
কখনো আমার গলা ধরে যায়নি, বা চোখ
ভিজে অঠেনি। দুটা ব্যাপারী এই প্রথম
ঘটল।

হিমুর প্রতিটি কথা ভুয়া। সত্যি কথা
সে অতীতে কোনোদিন বলেনি। ভবিষ্যতেও
বলবে না।

জোছনা দেখতে দেখতে, আমার হটাৎ
মনে হলো, প্রকৃতির কাছে কিছু চাইতে নেই,
কারণ প্রকৃতি মানুষের কোনো ইচ্ছাই অপূর্ণ
রাখে না।

চান সোনা জবাব দিলো না। যেভাবে
বসেছিল সেভাবেই বসে রইল। কতকাল আগে
এক শ্রাবণ মাসে তের বছরের চানসোনা এই
গ্রামে এসেছিল। লম্বা ঘোমটার ফাঁকে
অবাক হয়ে দেখেছিল ভাটি অচ্ঞল। অজানা
এই জায়গাটার জন্য কেমন এক ধরনের মমতা
জন্মেছিল। আজ এই মমতা বহুগুণে বেড়ে
তাকে ভাসিয়ে নিতে চাইছে। এতটুকু মাত্র
শরীর মানুষের এই মমতা সে কোথায় ধারণ
করে?

দিতে পার একশ’ ফানুস এনে আজন্ম
সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস
উড়াই।

জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে
আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন
যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায়
ডুবছি।

দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের
একপ্রকার মায়া জন্মে যায়, আর এই মায়া
থেকে জন্মায় ভালোবাসা।

বন্ধুত্ব তখনই গাঢ় হয় যখন কেউ কাউকে
চিনে না।

পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই
একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে
আসে। কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ
থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।

পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে।
ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক
অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো
কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।

এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে
বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে
পড়ে|

তরুণী মেয়েদের হঠাৎ আসা আবেগ হঠাৎ
চলে যায়। আবেগকে বাতাস না দিলেই
হলো।আবেগ বায়বীয় ব্যাপার, বাতাস
পেলেই তা বাড়ে। অন্য কিছুতে বাড়ে না |

সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত
তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে,
যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে|

অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা
সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে
যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম
জানা যায়, সে তত ভাল
বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও
বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু
ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।

কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালবাসার মধ্যে
এক ধরনের দুর্বলতা আছে।নিজেকে তখন তুচ্ছ
এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা
নিজেকে ছোট করে দেয়।

ভালো লাগার মতো কিছু উক্তি

যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে
অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন
প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে
সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই
প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়।
আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও
অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে
পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক
কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায়
সত্যিই কিছু আসে যায় না।

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট
পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়
মানসিক কষ্ট।
কোন দোষ লাগে না। ছেলে-মেয়ে মায়ের
ত্রুটি দেখবে না। অন্যেরা হয়ত দেখবে,
সন্তান কখনও না।

কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে
গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য
আপনি এসে ধরা দেয়!

সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ
মিথ্যা বলতে পারে না।
মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে!

বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে
থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে
যায় তখন করে বড় ভুল!

কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে
হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং
স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর
অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি
পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা
হাসার ন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের
মত।

ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে
কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল
সহানুভূতি।

মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে
বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।

চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও
আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে,
ঠিক তেমন
মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক,একবার
চলে গেলে আবার ফিরে আসে।

প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে
সুসংবাদ থাকে। -বাদশাহ নামদার
20) মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে
শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে
অনেক কিছু শেখা যায়।

যে একদিন পড়িয়েছে সে শিক্ষক ।
সারাজীবনই শিক্ষক। আবার যে একদিন চুরি
করেছে সে কিন্তু রাজীবনই চোর না,
তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই চোর হত।

সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা
আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের
সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট
পাবার জন্যই জন্মায়। টাকা পয়সার কষ্ট নয়-
মানসিক কষ্ট।

মেয়েদের স্বভাবই হচ্ছে হালকা জিনিস
নিয়ে মাতামাতি করা।

একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার
উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা।

বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার
একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই
ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে।
খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার
হয়ে যায়।

চট করে কারো প্রেমে পড়ে যাওয়া
কাজের কথা না। অতি রূপবতীদের কারও
প্রেমে পড়তে নেই। অন্যেরা তাদের
প্রেমে পড়বে, তা-ই নিয়ম।

মাঝে মাঝে তুচ্ছ বিষয় চোরাকাঁটার
মত মনে লেগে থাকে… ব্যথা দেয়
না, অস্বস্তি দেয়।

লাজুক ধরনের মানুষ বেশীর ভাগ সময়ই
মনের কথা বলতে পারেনা। মনের কথা হড়বড়
করে বলতে পারে শুধু মাত্র পাগলরাই।
পাগলরা মনে হয় সেই কারণেই সুখী।
যে সব মানুষের নাক সেনসেটিভ হয়
তাদের কান কম সেনসেটিভ হয়। প্রকৃতি
একটা বেশী দিলে অন্যটা কমিয়ে দেয়।

মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত
নক্ষত্র পূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার
থেকেও রহস্যময় মানুষের মন।

মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে
না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ।

কিছু কিছু মানুষ সত্যি খুব অসহায়।
তাদের ভালোলাগা মন্দলাগা, ব্যথা
বেদনা গুলো বলার মত কেউ থাকে না।
তাদের কিছু অব্যক্ত কথা মনের গভীরেই
রয়ে যায়। আর কিছু কিছু স্মৃতি এক সময়
পরিনত হয় দীর্ঘ শ্বাসে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর
আসল রূপ দেখতে পায়।

গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়।
প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন l
কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল।
দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল
হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে
মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা
যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা।

কিছু কিছু পুরুষ আছে যারা রূপবতী
তরুণীদের অগ্রাহ্য করে একধরনের আনন্দ
পায়। সচরাচর এরা নিঃসঙ্গ ধরনের পুরুষ হয়,
এবং নারী সঙ্গের জন্যে তীব্র বাসনা বুকে
পুষে রাখে।

তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার
মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ
কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি
একজন ভাল মানুষ।

হুমায়ূন আহমেদ এর রেখে যাওয়া সৃতিগুলো

সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে।
অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস
করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার
অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না
শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।

বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা
যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত
কিছুতেই তাড়ানো যায় না!

সব মানুষকেই বিনয়কে এদেশে দুর্বলতা
মনে করা হয়, বদমেজাজকে ব্যক্তিত্ব ভাবা
হয়।

মানুষ খুবই স্বাধীন প্রাণী কিন্তু অদ্ভুত
কারণে সে ভালবাসে শিকল পরে থাকতে।

দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে
হয় না।

ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের
চোখে লিখা থাকে!

যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু
পরিকল্পনা মতো হয় না।

ভালবাসাবাসির জন্যে অনন্তকালের
প্রয়োজন নেই।একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।

বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই।
কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা
কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে
যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়।

ভাল লাগা এমন এক জিনিস যা একবার
শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।

মিথ্যা হলো শয়তানের বিয়ের মন্ত্র।
মিথ্যা বললেই শয়তানের বিয়ে হয়। বিয়ে
হওয়া মানেই সন্তান-সন্ততি হওয়া। একটা
মিথ্যার পর আরো অনেকগুলি মিথ্যা বলতে
হয় এই কারণেই।পরের মিথ্যাগুলি শয়তানের
সন্তান।

মানুষের স্বভাব হলো, কেউ যখন
ভালোবাসে তখন নানান কর্মকাণ্ড করে
সেই ভালোবাসা বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে
করে, আবার কেউ যখন রেগে যায় তখন তার
রাগটাও বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে।

আরও পড়তে নিচের লিংকগুলোতে দেখুন:

স্টাইলিশ ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

স্বপ্ন নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী, হাদিস, উক্তি ও স্ট্যাটাস

পরিবার নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন

বাংলা ফানি স্ট্যাটাস, জোকস ও ক্যাপশন

শুভ সকাল রোমান্টিক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ ও মেসেজ

শেষকথা

হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি সমূহ নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে আপনাদের কাছে। হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি হৃদয়ে ধারণ করলে আমাদের জীবন পরিবর্তন হবে। তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী মানুষ ছিলেন এবং অনেক জ্ঞানী শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

About Durud Ahmed

সম্মানিত ভিজিটর আমি দুরুদ আহমেদ,পেশায় আমি একজন ব্লগ লেখক। প্রযুক্তি ও শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, লাইফস্টাইল এবং ইসলামিক লেখাই আমার প্রিয়। এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটরদের সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য।