মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন আমাদের জীবনে বিভিন্ন প্রকার স্বভাবের মানুষের সাথে মিশতে হয়। তাই দেখা যায় যে বিভিন্ন মানুষের স্বভাব বিভিন্ন রকম। প্রতিটা মানুষের আলাদা আলাদা একটি স্বভাব আছে কারো ভালো স্বভাব কারো মন্দ স্বভাব। তাই সকলের স্বভাব এক থাকে না কিন্তু প্রতিটি মানুষের ব্যবহার দ্বারা তার স্বভাব মানুষের কাছে ফুটিয়ে তুলে এবং একজন ব্যক্তির স্বভাবের উপর নির্ভর করে তার ব্যবহার কেমন হবে।
আজকে আমাদের এই পোষ্টির মাধ্যমে মানুষের স্বভাব সম্পর্কিত কিছু লেখা তুলে ধরবো আমার এই লেখাগুলো পড়লে আপনারা জানতে পারবেন মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন।
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি
বর্তমান সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা মানুষের ক্ষতি করে বেড়ায় এবং নিজেকে ভালো রাখার জন্য একটি মুখোশ পরে থাকে যেন সমাজের লোকজন ভাবে সে ভালো লোক। কিন্তু আসলে সে ভালো লোক নয় সে হচ্ছে মুখোশধারী একটি মানুষ। তাই যে সকল পাঠকগণ মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি খোঁজছেন তারা অবশ্যই আমার লেখাগুলো পড়বেন, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
মুখোশধারী মানুষ বেশিরভাগ সময় নিজের মধ্যে একটা মিথ্যা আবরণ তৈরি করে রাখে। যার কারণে তার প্রকৃত চেহারাটা সবার অগোচরে থেকে যায়।
মুখোশধারী মানুষের ভিতরে ধোঁকা দেয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ সে সহজেই মুখোশের আড়ালে থেকে যে কাউকে ধোঁকা দিতে পারে।
আপনি যদি ইতিবাচক উদ্দেশ্য নিয়েও মুখোশধারী হয়ে থাকেন। তবুও বলবো নিজের মুখোশ উন্মোচন করে সবার সামনে আসুন, তাহলে সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।
যেকোনো মুখোশধারী মানুষই নিজের অস্তিত্ব সংকটের বিষয়টি টের পায়। আর তাই সে মিথ্যা মুখোশের আশ্রয় নিয়ে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে চায়।
প্রতিটি মুখোশধারী মানুষের জীবনে কোন না কোন কালো অধ্যায় রয়েছে। আর তার জন্যই হয়তো একটা সময় সে নিজেকে মুখোশের আড়ালে ঢেকে নিয়েছে।
আমরা সবাই কম বেশি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করি। আর এরকম করতে করতে একটা সময় আমরা সবাই একেকজন মুখোশধারী মানুষে পরিণত হই।
মানুষের ভিতরে সব সময় দুইটা সত্তা বাস করে। আর একজন মুখোশধারী ব্যক্তি শুধুমাত্র তার লোক দেখানো সত্তাটা সবার সামনে প্রকাশ করে।
মুখোশধারী মানুষ কখনোই তার ভেতরের আসল রংটা প্রকাশ করতে চায় না। এজন্যই সে সব সময় দ্বৈত সত্তা নিয়ে চলাফেরা করে।
একজন মুখোশধারী মানুষ সবসময় নিজের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য বদলাতে থাকে। ঠিক এই জন্যই সে নিজের এবং অপরের জন্য স্থায়ী হয় না।
আমাদের সামনে থাকা মানুষটা ঠিক কোন ধরনের মুখোশধারী সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারবো না। তাই প্রতিটি মানুষের কাছ থেকেই অন্তত নিজেকে ন্যূনতম সতর্ক রাখা উচিত।
আপনি যদি চান যে লোকে আপনাকে কারা ভালবাসে তবে মুখোশটি খুলে ফেলুন।
কোয়েটজল
একটি লাল নাক এটি বিদারণের মুখোশ এবং আমার গোঁফ আমার।
নুনো রোক
প্রেমের মুখোশটি সরিয়ে ফেলার একটি শক্তিশালী উপায় রয়েছে যা আমরা প্রত্যেকে পরাতে জোর দিয়েছি।
জেসি
সদগুণ একটি পর্দা আছে, একটি মুখোশ।
ভিক্টর হুগো
আমি একটি নিখুঁত মুখোশের চেয়ে একটি সূক্ষ্ম হৃদয় প্রেমে পড়ি।
সায় প্রদীপ
মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে; তাদের ঘরে অনেকগুলি মাস্ক রয়েছে এবং আজ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোন মাস্কটি পরতে হবে! মানুষের কেবল একটি মুখ, তবে হাজারটি মুখোশ!
মেহমেট মুরাত ইল্ডান
রাজাদের মুখোশের দরকার নেই। একটি মুখোশ নিজের থেকে মুক্তি, একটি অবকাশ ।
লিডিয়া জিনোভিভা-আনিবলাল
আমরা সকলেই মুখোশ পরে থাকি তবে এটিই আমরা পরতে পছন্দ করি যা একটি পার্থক্য তৈরি করে।
কিম ইন্নয়ন
যে শত্রু আপনাকে আক্রমণ করে তাকে নয়, বরং যে মুখোশধারী বন্ধু আপনাকে আলিঙ্গন করে তাকে ভয় করুন।
চার্লস রিখটার।
মুখোশধারী বন্ধু আপনার সাথে এতটাই মিষ্টি ব্যবহার করবে যে আপনি তার হৃদয়ের তিক্ততার কোনো আন্দাজই করতে পারবেন না।
স্টিভ ম্যাকয়।
মানুষকে যত সহজে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন, দেখবেন আপনার চারিদিকে মুখোশধারী মানুষের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে।
সংগৃহীত।
বিপদের দিনে সাহায্য করেছিলো যে বন্ধু তাকে খুব যত্ন করে কাছে রেখে দিন, মুখোশধারী মানুষের জগতে সে এক সম্পদ।
ক্রিস্টোফার ইভান্স।
মুখোশধারী বন্ধুর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সে আপনাকে ঠিক ভুল বিবেচনা না করেই আপনার সঙ্গ দেবে।
রবার্ট ফ্রস্ট।
আপনার সুদিনে সবচেয়ে বেশি তোষামোদ করা বন্ধুটিকে চিনে রাখুন, দেখবেন বিপদের দিনে তাকে কিছুতেই খুঁজে পাবেন না।
ডেভিড শেফার্ড।
যে মানুষটি সত্যিই খারাপ তাকেও এক বিবেচনায় ভালো বলা চলে, কারণ সে মুখোশধারী হয়ে বন্ধুত্বের অভিনয় করে না।
সংগৃহীত।
আপনার বিপদের দিনে না এসে যে বন্ধু আপনাকে নানান অযুহাত দেখিয়েছিলো, তাকে চিনে রাখুন। সেই মুখোশধারীকে আর নিজের বন্ধু বলে দাবি করবেন না।
হিমাদ্রি শর্মা।
যে বন্ধু তৃতীয় কারোর সামনে আপনার দূর্বলতাকে তুলে ধরে মজা করে, সে কখনো আপনার প্রকৃত বন্ধু হতে পারে না, সে শুধুমাত্র একজন মুখোশধারী।
লরেন্স কোহলবার্গ।
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস
আপনি যদি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য মুখোশধারী মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে চান। তাহলে আজকের এই পোষ্ট থেকে স্ট্যাটাস সংগ্রহ করে নিন। আশা করি আজকের এই পোষ্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
একজন মুখোশধারী মানুষের স্বভাবই হচ্ছে লুকোচুরি করা। সে কখনোই আপনার সামনে প্রকৃত সত্য উন্মোচন করবে না।
কিছু হলেই আমরা সমাজকে দোষারোপ করতে থাকি। যেখানে আমরা নিজেরাই এক এক জন এক একটা মুখোশধারী মানুষ।
নিজের বর্ণ লুকিয়ে একজন মুখোশধারী মানুষ যে কারও হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারে। তাই এখন থেকেই নিজের হৃদয়ের জন্য সুরক্ষা প্রাচীর তৈরি করুন।
শুধুমাত্র অন্যের কথা ভেবে নিজের আনন্দ খুশি বিসর্জন দেওয়া মানুষটাও একজন মুখোশধারী। অথচ সে খেয়াল করলো না যে, কতগুলো মুহূর্ত সে নিজের সাথে মিথ্যে অভিনয় করে গেছে।
এই পৃথিবীতে একজন মুখোশধারী প্রেমিক অথবা প্রেমিকা সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ। তারা আসলে সর্প সমতুল্য, যে কোনো মুহূর্তে বিষধর সাপের মতো দংশন করতে পারে।
সৎ এবং পরিশ্রমী বাবাও তার সন্তানের সামনে একজন মুখোশধারী মানুষ। সন্তানের আবদার রক্ষা করার জন্য সে অনেক পরিশ্রম করে কিন্তু সেটা লুকিয়ে রাখে।
এই শহরে কতশত মুখোশধারী মানুষের আনাগোনা। শুধু প্রকৃত মানুষের খুব অভাব।
মুখোশধারী মানুষ সবসময় সবকিছু নিখুঁতভাবে করার চেষ্টা করে। আর এই একটা জায়গায় সে খুব সহজেই বোকা বনে যায়।
মুখোশধারী মানুষ আমাদের সামনে সেটাই দেখায়, যা আমরা দেখতে চাই। আর এই কৌশলে সে বিজয়ী হয় আর আমরা অন্ধকারে থেকে যাই।
দিনশেষে আমাদের কোনো শত্রুকে মনে থাকবে না, শত্রুর বলা কোনো কথাও মনে থাকবে না। কিন্তু যে মুখোশ পড়ে বন্ধুত্বের অভিনয় করেছিলো তাকে খুব ভালো করে মনে থাকবে।
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
একবার মুখোশ ধারণ করা শিখে গেলে, সেই স্বার্থান্বেষী মুখোশে আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে এক নিঃস্বার্থ মানুষ হওয়া, প্রায় অসম্ভব বিষয়।
এস রবিশঙ্কর।
মুখোশধারী বন্ধু হলো সাবানের বুদবুদের মতো, যখন আলো তাপের প্রখরতা বাড়ে, তখনই তারা উবে যায়।
চিরাঞ্জুরে বার্ড।
এই পৃথিবীতে মুখোশধারী মানুষের সংখ্যা অনেক, কিন্তু তাদেরকে মুখোশধারী, প্রতারক বলার আগে নিশ্চিত হোন, আপনি তাদেরই একজন নন।
সংগৃহীত।
একজন প্রতারক আর মুখোশধারী মানুষই অন্যের প্রতারণা গল্প করতে থাকে। প্রকৃত নীতিবান ব্যাক্তি তার নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
জিয়াদ আলবেন্ডার।
মানুষকে যেমন সহজে বিশ্বাস করা ঠিক না, তেমনি সহজে অবিশ্বাস করাও ঠিক না। সবাইকে মুখোশধারী মনে করে বন্ধুত্ব থেকেই আপনি বঞ্চিত হবেন।
প্রভু বিশ্বনাথ।
মুখোশধারী বন্ধু সবসময় নিজেকে সাধু প্রমাণের চেষ্টা করবে, নিজেকে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করাতে চাইবে, প্রকৃত বন্ধুর এসবের প্রয়োজন পড়ে না।
সংগৃহীত।
মুখোশধারী বন্ধুরা হলো আপনার ছায়ার মতো। আলোক উজ্জ্বল সময়ে দেখবেন সবসময় আপনার সাথে সাথে আছে, কিন্তু আপনার অন্ধকার সময়ে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
খলিল জিবরান।
আপনার সাফল্য দেখবেন কিছু মানুষের মুখে চিন্তা আর অখুশির ভাঁজ ফুটিয়ে তুলবে, বুঝে নিবেন তারা আপনার সেই মুখোশধারী বন্ধু।
স্টিভ ম্যাকয়।
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে ক্যাপশন
যে সকল পাঠকগণ মুখোশধারী মানুষ নিয়ে ক্যাপশন খোঁজতেছেন তারা অবশ্যই আমার লেখাগুলো পড়বেন আমার লেখাগুলোর মাঝে মুখোশধারী মানুষ নিয়ে কিছু ক্যাপশন পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি চান যে লোকে আপনাকে কারা ভালবাসে তবে মুখোশটি খুলে ফেলুন।
কোয়েটজল
একটি লাল নাক এটি বিদারণের মুখোশ এবং আমার গোঁফ আমার।
নুনো রোক
প্রেমের মুখোশটি সরিয়ে ফেলার একটি শক্তিশালী উপায় রয়েছে যা আমরা প্রত্যেকে পরাতে জোর দিয়েছি।
জেসি
আপনি কি আন্তরিক? আপনার মুখোশ নেই? তুমি কি ভাবছ? তাহলে আপনি আসল, তবে আপনি জাল নন!
মেহমেট মুরত ইল্ডান
আমি একটি নিখুঁত মুখোশের চেয়ে একটি সূক্ষ্ম হৃদয় প্রেমে পড়ি।
সায় প্রদীপ
মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে; তাদের ঘরে অনেকগুলি মাস্ক রয়েছে এবং আজ তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোন মাস্কটি পরতে হবে! মানুষের কেবল একটি মুখ, তবে হাজারটি মুখোশ!
মেহমেট মুরাত ইল্ডান
রাজাদের মুখোশের দরকার নেই। একটি মুখোশ নিজের থেকে মুক্তি, একটি অবকাশ।
লিডিয়া জিনোভিভা-আনিবলাল
আমরা সকলেই মুখোশ পরে থাকি তবে এটিই আমরা পরতে পছন্দ করি যা একটি পার্থক্য তৈরি করে।
কিম ইন্নয়ন
জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নাও এবং স্বভাবকে করো সুন্দর, কারণ তোমার স্বভাবই তোমার জীবনে শান্তি এনে দিবে।
আর এল সার্স।
আল্লাহ তায়ালার কাছে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে সুন্দর, যে ব্যক্তির স্বভাব খুব সুন্দর।
আল হাদিস।
আমি যে তার পদ্ধতি জানি আপনি কখনোই জিততে পারবেন না যদি আপনার স্বভাব দুরন্ত না হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হে আল্লাহ তুমি আমার আকার যেরকম সুন্দর করে গঠন করেছ, সেই রকম ভাবে আমার স্বভাবকেও সুন্দর বানিয়ে দাও।
আল হাদিস।
আরও পড়তে: হতাশা নিয়ে উক্তি, ইসলামিক উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা
আরও দেখতে: হুমায়ুন ফরিদীর উক্তি (Quote by Humayun Faridi)
মুখোশধারী মানুষ নিয়ে কবিতা
অনেক সুন্দর এই কবিতাগুলো। আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, আপনি যদি একবার পড়েন এই কবিতাগুলো, তাহলে আপনার অনেক ভাল লাগবে।
মুখোশধারী
মোঃ বুলবুল হোসেন
মানুষের চরিত্র বিচিত্র বর্ণের
বোঝা সে দায়
একই মানুষের বিভিন্ন রূপ
চরিত্র বদলায়।
অবাক করা অনুভূতি মানুষের
তাতে কি হয়
মানুষের মাঝে বিবেক-বুদ্ধি
কোথায় রয়।
স্বার্থ তোমাকে করিয়াছে নিচু
শ্রেষ্ঠ হে মানুষ
সামান্য স্বার্থের কাছে পরাজয়
তোমার নাই হুশ।
এতটা বিবেকহীন মানুষ তুমি
হও কেমনে
পশুর মত আচরণ দেখি আজ
বিবেক নিম্নে।
অন্তরে ভরা হিংসা তোমার
মারো সুযোগে
মিষ্টি কথায় ভিজিয়ে করো
অন্যের ধন ভোগে।
মানুষ রুপি শয়তান ওরা
ওদের ধর্ম নাই
ভোগ বিলাসে থাকো মেতে
নেশা কর তাই।
মুখে বল এক মনে ভিন্ন
করো বাহাদুরী
আচার-আচরণে বিচিত্র মানুষ
যেন মুখোশধারী।
অভ্যাসে বসি ঠকানো
নিজের অভ্যাসে বসি নিজের গালের পরে চর কষি
মনটা আমার কুসুমের মত পড়েছে প্রেমের জ্বরে।
থাকি বসে তবু, আঁকি কাঁচা হাতে,চক্ষু নিশীথে মেলি,
আর আমি ঘুমের ওষুধে যেন শুধু মৃত্যুর খেলা খেলি।
আমার চোখের নিরবতা দেখে, যদি কাছে এসে যাও,
তবে তুমি যাও! অভিমাণে বল একটু কাছে চাও
যদি শেষে চাও, এত স্রোতে ভেসে আমার নরম হাত,
মেলে দিয়ে হাত, নেবো জড়িয়ে দেখাবো না অজুহাত।
অপেক্ষারতা পার্কের পাশে জীবনের সহচরী
আমার মিষ্টি কবিতা তোমার ব্যগেতে ভরি।
ফুচকার দাবি, একলাই খাবি.বেসনেই যেটা গড়া,
চাপানো পাথর বুকের উপর আমার জন্য সরা!
জীবনের অন্তহীন রাস্তা যাবো পাশাপাশি,
সূক্ষ কোণায় পাশাপাশি তুমি এখনও অভ্যাসই,
আমি অভ্যাসই বলি, চুমু খাওয়া গলি অথর্ব হই খালি।
তুমারটাকে কান্না বল, আর আমি চোখের বালি।
শখ থাকে মনে একসাথে হেঁটে যাবো চিরকালই,
নিয়মমাফিক ভাবে প্রাক্তন পায় ঠকানোর গালাগালি।
হলে না তুমি প্রক্তন, তোমাকে আমি হারাবো।
তাই তুমি গিয়ে দূরে শুধু আমার কথা ভাবো।
আসলে শুধু বলা এটা ভয়, ওটা আসলে পরাজয়।
পরাজয় নিয়ে মাথা নীচু করে বসি,
তবুও তোমায় পাইনা থেকে যাই দোষি।
ঠকাইলে ঠকতে হয়
ছিল এক গোয়ালিনি দুধে দিল জল,
দেড়গুণ লাভ পেয়ে সে হাসিতে খলখল।
দুধ বিক্রির টাকায় কিনতে গেল চাল,
দোকানদার দিল তাকে শিলা ভরা চাল,
ওজনেও কম দিল কেন এই ফল?
মোটা লাভ পেয়ে মুদি হাসিতে উজ্জ্বল।
দোকানি গেল বাজারে কিনিল সে মৎস্য,
চোখ ঘোলা টাটকা মাছ বুঝল না রহস্য।
ফরমালিন দেওয়া তাতে কিনিল সে তাই,
মাছওয়ালা হেসে বলে জিতে গেলে ভাই,
তারপরে খবর আসে মাছওলার কাছে
পোলায় ভেঙেছে ঠ্যাং চড়েছিল গাছে।
চিকিৎসার জন্য তারা গেল হাসপাতাল,
দুর্ভাগ্যবশত তাকে দেখিল দালাল।
দালালের খপ্পরে সে পড়ে গেল হায়!
চিকিৎসার টাকা নিয়ে দালাল পালায়।
মাছওয়ালা ভাবে মনে কেন এই ফল?
চোখেতে ধরে না পানি দেখে তার হাল।
এক পুলিশ দেখে সে করিল নালিশ,
গোপনে ধরে পুলিশ করে মিল মিশ।
এক আনা তাকে দিয়ে নিল তিন আনা,
ঘরে পুলিশের ছেলে ট্যাঁকে হাত মানা।
তবুও হাতালো ছেলে নোট কয় খানা,
বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সে গেল শুঁড়িখানা।
মুখোশ
নিউরনে আজ, আমার সাধুবেশী সাজ
লাল নীল সবুজ আলোর হেলায়।
কোন সে অজানা সরাব পানের পরে
উঠেছি মেতে মুখোশ মুখোশ খেলায়।
অদৃশ্য আবরণের কল্পিত সে মুখোশ
যাতে ঢাকা পরে গেছে আমার হত্যা, লুণ্ঠন, খুন।
যার স্পর্শে হৃদয়ে জেগেছে মানবতা
নিউরনে লেগেছে মহত্ব লাভের ঘুণ।
রুদ্ধ ক্ষিতির আর্তনাদে গড়া সে মুখোশ
সত্যি যদি হতো;যাতে ঢেকে যেত প্রাগৈতিহাসিক বন্যতা।
আলতো পরশে তার, রক্তাক্ত ক্ষতাক্ত সভ্যতাও
ভুলতে পারতো ধর্ষিত হওয়ার তীক্ততা।
হতোই না হয় সে এক মুখোশধারী ধরা
হতোই না হয় সে সব ভান করা সততা।
তবুতো সে মুখোশের ছোঁয়ায় আসত
মুর্ছিত এ ধরায় এক চিলতে সুখের বহতা।
কিন্তু আমি তো জানি আমার এ নেশাতুর চিন্তা।
বিজন বনে করে চলা নিষ্ফল আর্তির মতো।
একাকী হারিয়ে গিয়ে দেখে যাবে কেবল
আজিকার মুখোশহীন সভ্যতার বিভেদের ক্ষত।
আরও সুন্দর সুন্দর পোষ্টগুলো পড়তে নিচের লিংকগুলো তে ক্লিক করুন।
পরিস্থিতি নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি ও ক্যাপশন
মন খারাপের স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
শেষকথা
প্রান প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের এই লেখাগুলো যদি আপনার কাছে সামান্যতম ভালো লেগে থাকে তাহলেই আমাদের এই লেখা সার্থক। মুখোশধারী মানুষ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা পড়ে আশা করি অনেক নতুন নতুন ধারণা পেয়েছেন। জীবনে চলার পথে এই সব মুখোশধারী লোকদের এড়িয়ে চলবেন। তা-না হলে জীবনে অনেক কষ্ট পেতে হবে। মুখোশধারী যেকোন কাউকেই ত্যাগ করবেন, সে হোক আপন রক্তের সম্পর্কের কেউ। যাই হোক ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন, এই কামনায় ধন্যবাদ সবাইকে।