ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী

ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী, হাদিস, উক্তি ও স্ট্যাটাস

ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী আমাদের ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতাকে উপলদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। ধৈর্য মানুষের গভিরতার পরিচয় বহন করে। ধৈর্য মানুষকে মহান হিসেবে গড়ে তোলে। ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে অণুপ্রাণিত করে।

ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী, হাদিস, উক্তি ও স্ট্যাটাস নিয়ে আমাদের আজকের পোষ্ট। একটি মানুষের যতগুলো মানবিক গুণাবলী আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো গুণ হলো ধৈর্য । এমনকি সফল ব্যাক্তিদের মতে, সফলতার মূল মন্ত্র হলো এই ধৈর্য। ধৈর্য ছাড়া কোন কিছুই অর্জন করা সম্ভব না । তাই আসুন ধৈর্য ধরতে শিখি এবং সফলতার পথে এগিয়ে যাই ।

ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী

আল্লাহ বলছেন, ‘ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুছবিরু ওয়া ছাবিরু ওয়া রাবিতু; ওয়াত্তাকুল্লাহা লাআল্লাহুম তুফলিহুন’ অর্থ: হে ইমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।
পারা: ৪, সূরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ২০০।

ধৈর্য ধারণকারীর সাফল্য সুনিশ্চিত, কারণ আল্লাহ তাআলা ধৈর্য ধারণকারীর সঙ্গে থাকেন; আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যার সঙ্গে থাকবেন, তার সফলতা অবধারিত। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানুছতাঈনু বিছছবরি ওয়াছ ছলাতি; ইন্নাল্লাহা মাআছ ছাবিরিন।’ অর্থ: হে মুমিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
পারা: ২, সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩।

ধৈর্য মানবজীবনে পরীক্ষাস্বরূপ। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত কোরআনুল আজিমে বলেন, ‘তাবারকাল্লাজি বিইয়াদিহিল মুলকু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির। আল্লাজি খলাকাল মাওতা ওয়াল হায়াতা, লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহ্ছানু আমালা; ওয়া হুওয়াল আজিজুল গফুর।’ অর্থ: মহামহিমান্বিত তিনি সর্বময় কর্তৃত্ব যাঁর করায়ত্ত; তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদিগকে পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
পারা: ২৯, সূরা-৬৭ মুলক, আয়াত: ১-২।

হিলম তথা সহিষ্ণুতা সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…ওয়া ইন্নাল্লাহা লাআলিমুন হালিম’ অর্থাৎ…এবং আল্লাহই তো সম্যক প্রজ্ঞাময়, পরম সহনশীল।
পারা: ১৭, সূরা-২২ হজ, আয়াত: ৫৯।

ছবর, অর্থাৎ ধৈর্য সম্পর্কে কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ইন্না ওয়াজাদনাহু ছাবিরা; নিমাল আবদু, ইন্নাহু আউওয়াব’।
অর্থ: আমি তো তাকে পেলাম ধৈর্যশীল। কত উত্তম বান্দা সে! সে ছিল আমার অভিমুখী।
পারা: ২৩, সূরা-৩৮ সাদ, আয়াত: ৪৪।
ইন্না ফি জালিকা লাআতিল লিকুল্লি ছব্বারিন শাকুর অর্থ: নিশ্চয় এতে তো নিদর্শন রয়েছে প্রত্যেক পরম ধৈর্যশীল ও পরম কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য।
পারা: ১৩, সূরা-১৪ ইবরাহিম, আয়াত: ৫।

ধৈর্যের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন মজিদে বলেছেন, ‘মহাকালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা
নয়, যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়।
পারা: ৩০, সূরা-১০৩ আসর, আয়াত: ১-৩।

ধৈর্য নিয়ে সেরা কিছু আল্লাহর বাণী

আমি আজ তাদেরকে তাদের ধৈর্যের কারনে এমন ভাবে পুরস্কৃত করলাম যে তারাই হলো সফলকাম।
সূরা আল মুমিনূন (আয়াত-১১১)।

মাকে নিয়ে পড়তে: মাকে নিয়ে উক্তি, ক্যাপশন, স্ট্যাটাস, কবিতা, বাণী, ও কিছু কথা

তুমি ধৈর্য ধরো নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। যারা দৃঢ় বিশ্বাসি নয় তারা যেন অবশ্যই বিচলিত করতে না পারে।
সূরা আর রূম (আয়াত-৬০)।

হে বান্দা, সালাত কায়েম করো, সৎকাজে আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ করো, এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধরো। নিশ্চয় এগুলো অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ।
সূরা লোকমান (আয়াত-১৭)।

উত্তম চরিত্রের অধিকারি কেবল তারাই হয় যারা ধৈর্যশীল এবং মহাভাগ্যবান।
সূরা হা-মীম সেজদাহ (আয়াত-৩৫)।


লোকে যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারন করো এবং সৌজন্য সহকারে তাদেরতে পরিহার করো।
সূরা আল মুযযাম্মিল (আয়াত-১০)।

যদি তোমরা ধৈর্য ধরো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো তাহলে কাফেররা তোমাদের উপর আক্রমন করলে তোমাদের প্রতিপালক ৫ হাজার ফেরেশতা দ্বারা তোমাদের সাহায্য করবে।
সূরা আল ইমরান (আয়াত-১২৫)।

যারা ধৈর্য ধারণ করেছে এবং সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।
সূরা হুদ (আয়াত-১১)।

তুমি ধৈর্য ধারন করো, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ারা সৎকর্মশীলদের প্রতিদান নষ্ট করেন না।
সূরা হুদ (আয়াত-১৫৫)।

তুমি ধৈর্য ধারণ করো, তোমার ধৈর্য নিশ্চয় আল্লাহরই সাহায্য। তাদের অবিশ্বাসের জন্য তুমি দুঃখ করো না এবং তাদের ষড়যন্ত্রে তুমি মনঃক্ষুণ্ণ হয়ো না।
সূরা আন নাহল (আয়াত-১২৭)।

তোরা স্বরণ করো ইসমাঈল, ইদরীস ও যুলকিফল এর কথা তাদের প্রত্যেকেই ছিলো ধৈর্যশীল।
সূরা আল আম্বিয়া (আয়াত-৮৫)।

পরিবার সম্পর্কে পড়তে: পরিবার নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও সুন্দর সুন্দর ক্যাপশন

ধৈর্য নিয়ে হাদিস

যে ব্যক্তি বিপদে ধৈর্য ধারণ করলো আল্লাহ তায়ালা সেই ব্যক্তির উপর খুশি হয়ে গেলো।
মাহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)।

ধৈর্য নামক গাছটি কাটাযুক্ত হলেও এর ফল অতি সুস্বাধু।
হযরত মোহাম্মদ (সঃ)।

যে ব্যক্তি সবর করতে জানে সে কখনো রাগাণ্বিত হয় না এবং কারো প্রতি অভিযোগ করে না।

ধৈর্যশীল রা শান্তিতে থাকে কেননা তারা জানে যে আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিবেন ।
মাওলায়ানা তারিক জামিল।

ধৈর্য ধারণ করলে সমস্যার সামাধান অতি নিকটে।
মিজানুর রহমান আজহারি।

যার মাঝে ধৈর্য আর অল্লাহর প্রতি ভালোবাসা আছে, তার পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।

তোমরা সালাত কায়েম করো মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকো এবং ধৈর্য ধারণ করো অল্লাহ তায়ালা ভালো কিছু দান করবেন ইনশাআল্লাহ।

হাদিস শরিফে আছে, যে ব্যক্তি বিপদে পড়বে এবং ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ তাআলা তার বিপদ দূর করবেন এবং তার যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে উত্তম জিনিস তাকে দান করবেন।
বুখারি ও মুসলিম।

যদি তাকে কোন বিপদ স্পর্শ করে, তাহলে তোমরা ধৈর্য্যধারণ করবে। এতে অর্জিত হবে কল্যাণ।
মুসলিম শরিফ।

সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য ধারণ করা।

আরও পড়তে: বাংলা ফানি স্ট্যাটাস, জোকস ও ক্যাপশন

ধৈর্য নিয়ে উক্তি

প্রকৃতির গোপন শক্তিটিকে অর্জন করার চেষ্টা করো। গোপন শক্তিটি হলো, ধৈর্য।
রালফ ওয়ালডু ইমারসন, দার্শনিক ও কবি।

ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল অতি সুস্বাদু।
আল হাদিস।

আমার জীবনে আমি অনেক ঝড় দেখেছি। আর আমি শিখেছি ঝড়কে নিয়ন্ত্রণের শক্তি আমার নেই। কিন্তু আমার আছে ধৈর্য, যার মাধ্যমে আমি ঝড়ের সময় পার করে আগামীর দিকে তাকাতে পারি।
পাওলো কোয়েলহো, বিশ্বখ্যাত ব্রাজিলিয়ান লেখক।

ধৈর্য, অধ্যাবসায় আর পরিশ্রম, এই তিনটি এক হলে সাফল্যকে আর থামানো যায় না।
নেপোলিয়ন হিল, লেখক: থিংক এ্যান্ড গ্রো রিচ।

ধৈর্য একটি অসাধারণ মানসিক ক্ষমতা, এবং আমি এখনও এটা শিখছি।।
ইলন মাস্ক, মার্কিন উদ্যোক্তা।

ধৈর্য দিয়ে যা অর্জন করা যায়, তা শক্তি প্রয়োগ করে করা যায় না।
এডমন্ড বার্ক, আইরিশ দার্শনিক।

ধৈর্য হলো সাফল্যের একটি প্রধান শর্ত।
বিল গেটস, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।

ধৈর্যশীল মানুষের জেদ খুব ভয়ঙ্কর জিনিস ।
জন ড্রেইডেন, ১৭ শতকের ইংরেজ কবি ও নাট্যকার।

ধৈর্যের অভাবের কারণে অনেক বড় বড় সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যায়।
কনফুশিয়াস, চীনা দার্শনিক।

জিনিয়াস বলতে কিছু নেই, পুরোটাই ধৈর্য না হারিয়ে কাজ করার ফল।
আইজ্যাক নিউটন, বিজ্ঞানী ও দার্শনিক।

অন্ধকার হলে ধৈর্য ধরে বসে থাকো; ভোর আসছে…
জালালউদ্দিন রুমী, দার্শনিক ও সূফী।

আমার মনেহয়, বিশ্বাস আর ধৈর্য একে অপরের হাত ধরে চলে। তুমি যখন সবকিছুর পরও সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখবে, তখন তোমার জীবনে আনন্দ নেমে আসবে। যখন সৃষ্টি কর্তার ওপর তোমার বিশ্বাস থাকবে, তুমি অনেক বেশি ধৈর্য ধারণ করতে পারবে।
জয়েস মেয়ার, লেখিকা ও ধর্মীয় বক্তা।

শুভ সকাল নিয়ে স্ট্যাটাস পড়তে: শুভ সকাল রোমান্টিক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ ও মেসেজ

নিজেকে নিয়ে স্ট্যাটাস পড়তে: নিজেকে নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও কিছু কথা

ধৈর্য নিয়ে স্ট্যাটাস

ধৈর্য একটি মহৎ গুণ যা আপনাকে প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত করে।

ধৈর্য আপনার অসীম সম্ভাবনা এবং সপ্ন সম্পর্কে পরিকল্পনা করার জন্য সাহায্য করে।

ধৈর্য আপনাকে সুখ, সাফল্য, এবং শান্তি অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে। এটি সততা এবং আত্মবিশ্বাসের উৎস।

অবশ্যই! ধৈর্য একটি অমূল্য গুণ। এটি আপনাকে সমস্যা ও প্রতিকূলতা সম্মুখীন হতে সাহায্য করে।

ধৈর্য একটি অদৃঢ় সম্পত্তি, যা আপনাকে সঠিক পথে নিয়ে যায়। এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর দিকে সহযোগিতা করে।

ধৈর্যের সাহায্যে আপনি সমস্যার সমাধান খুঁজতে পারেন এবং ধৈর্য ধরতে পারেন।

ধৈর্য আমাদের আত্ম-উন্নতি এবং আত্ম-সম্মান বৃদ্ধি করে।

দুর্বলতা ও বিপদের সময়ে আপনি ধৈর্যের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে পারেন।

ধৈর্য আপনাকে অধিক ভালো ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত করে।

ধৈর্য আপনার জীবনে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর দিকে নিয়ে যায়।

শুধু ধৈর্যের বলেই অনেক পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে এসেছিলাম। হয়তো জীবন আমাকে এটাই শিখিয়েছে যে, ধৈর্যই হলো আমার সুরক্ষা কবজ।

আমি জীবনে যা কিছু অর্জন করেছি তা কেবলই ধৈর্যের বিনিময়ে। ধৈর্য না থাকলে হয়তো আমি কখনোই এতদূর আসতে পারতাম না।

আপনি যখন কোন কিছু পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠবেন তখন আরো দূরত্ব বেড়ে যাবে। ধৈর্যই আপনি এবং আপনার আকাঙ্খিত বিষয়টির মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে পারে।

বলা হয়ে থাকে যার কিছু নেই তার যেন ধৈর্যই হয় শেষ সম্বল। কারণ এই ধৈর্য নিয়ে এসে শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছতে পারে।

আপনার ধারণ করা এক মুহূর্তের ধৈর্য যে কোন বড় বিপর্যয়কে রুখে দিতে পারে। আবার আপনার অধৈর্য হবার একটা মুহূর্ত জীবনে বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে।

আপনার জীবনের প্রতিটি বিষয় বস্তুর জন্যই নির্দিষ্ট সময় একটি সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। তাই ধৈর্য ধরে প্রতীক্ষা করুন।

তবে ধৈর্যই হোক আপনার জীবনের নিত্য সঙ্গী। ধৈর্য ধরে আপনি আর যাই হোক ঠকবেন না।

জীবনের যেকোনো পরিস্থিতি ধৈর্য ধরতে পারলে অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। আর বাকি অর্ধেক সমাধান হয় নিজের প্রচেষ্টায়।

জীবনের সবকিছুই খুব সহজে পাওয়া যায় না। এ কথাটা মেনে নেওয়ার নামই হচ্ছে ধৈর্য।

ধৈর্য নিয়ে কিছু সেরা স্ট্যাটাস

আপনার যত সুন্দর ব্যক্তিত্বই থাকুক না কেন। ধৈর্য ছাড়া আপনার ব্যক্তিত্ব পানসে হয়ে যাবে।

সহ্য ক্ষমতা আর ধৈর্যশীলতা দুটি বৈশিষ্ট্যের সমান্তরাল ভাবে জীবনে চলতে থাকে। আপনি যখনই ধৈর্য ধরা শিখবেন তখনই সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

পরিবার কিংবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ধৈর্য আপনাকে ধরতেই হবে। তা না হলে আপনি ব্যালেন্স করতে পারবেন না।

আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ধৈর্য আপনার জন্য একজন আদর্শ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে। আর যেটা অবশ্যই আপনার ভালোর জন্য।

সব সমস্যার প্রতিকার একটাই যেটা হচ্ছে ধৈর্য। আর এই ধৈর্য আপনি যত দ্রুত নিজের মধ্যে ধারণ করবেন তত দ্রুত লাভবান হবেন।
আপনার জীবনে ধৈর্য এবং পরিশ্রম হলো অনেকটা জাদুর মত। আর এই জাদু বড় বড় বিপদ গুলিতে আপনার সাহসকে ধরে রাখে।

জীবনের পাহাড়ের মতই ধৈর্যশীল হতে শিখুন। তাহলে তো আপনি ঝরনার ছোঁয়া পাবেন।

পৃথিবীতে ধৈর্যশীলদের মতো রত্নবান মানুষ খুব কমই আছে।

ধৈর্যহীন মানুষ অনেকটা লাগামহীন ঘোড়ার মতই বিপদজনক। কখন কোথায় কি করে বসে তা কিছু বলা যায় না।

আপনাকে অবশ্যই অসীম ধৈর্যের অধিকারী হতে হবে। তা না হলে জীবনের সবটুকু বাজি আপনি হেরে যাবেন।

জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ কাজগুলি করার জন্য আপনাকে ধৈর্যশীলতার প্রয়োগ শিখতে হবে। শক্তি প্রয়োগে সব সময় কাজ আদায় করা যায় না।

ধৈর্যের অভাবে অনেক সময় আমাদের ভালো কাজগুলো সম্পূর্ণ করা হয়ে ওঠে না। তাই জীবনের অনেক অংশ আমাদের অপূর্ণ রয়ে যায়।

অপেক্ষা নিয়ে স্ট্যাটাস পড়তে: অপেক্ষা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

শেষ কথা

আমরা আজকের পোষ্টটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী,হাদিস, উক্তি ও স্ট্যাটাস । আশা করি আজকের এই পোষ্ট থেকে আপনি খুব সহজেই ধৈর্য নিয়ে আল্লাহর বাণী,হাদিস, উক্তি ও স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে নিতে পেরেছেন। যদি আজকের পোষ্টটি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে নানান ধরনের পোষ্ট দেয়া আছে চাইলে সেগুলো পড়তে পারেন এবং সংগ্রহ করতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

About Durud Ahmed

সম্মানিত ভিজিটর আমি দুরুদ আহমেদ,পেশায় আমি একজন ব্লগ লেখক। প্রযুক্তি ও শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, লাইফস্টাইল এবং ইসলামিক লেখাই আমার প্রিয়। এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটরদের সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য।