গীবত নিয়ে উক্তি

গীবত নিয়ে উক্তি

গীবত, নিন্দা বা কুৎসা রটানো বা অপবাদ নিয়ে উক্তি এখানে পেশ করালাম । নিন্দা একটি অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ। কোন মানুষের অনুপস্থিতিতে অন্য কারো কাছে তার দোষের কথা তুলে ধরা এবং তার নামে অপবাদ দেওয়ার নামই নিন্দা। নিন্দা ও নিন্দুক নিয়ে আজ আমরা মহান কিছু মানুষের এমন কিছু উক্তি জানব যা নিন্দুকদের লজ্জার কারণ হতে বাধ্য।

প্রথমে জেনে নেয়া যাক, গীবত কি?

গীবতঃ কারও অনুপস্থিতিতে অন্যের সামনে তার দোষ নিয়ে আলোচনা করা হলো গীবত।

রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন- গীবত কাকে বলে? তোমরা কি তা জানো?

উপস্থিত সবাই বললেন- আল্লাহ আর তাঁর রাসুল (সা.) ভালো জানেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বললেন- জিকরুকা আখাকা বিমা ইয়াকরাহু। অর্থাৎ গীবত হচ্ছে তোমার ভাইয়ের এমন কথা (দোষ) বর্ণনা করা, যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হবে।

এবার চলুন আসল বিষয়ে যাই।

গীবত নিয়ে উক্তি

গীবত নিয়ে উক্তি

নিন্দা করা মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার শামিল। — মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)

প্রতিটি ধর্মেই নিন্দাকে জঘন্যতম কাজ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তবুও কিছু মানুষ নিন্দা করে প্রমাণ করে যে তারা কতটা জঘন্য। — গৌতম বুদ্ধ

নিন্দা সেই করে যার কিছু অর্জন করার মতো যোগ্যতা নেই। — ইস্ট লাউইন

নিন্দা মানুষ বাইরে থেকেই করতে পারে, তবে ঐ বিষয়ের সঠিক বিচার করতে হলে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যারা নিন্দা করে তারা সাময়িকভাবে জিতে যায়, আর যারা এটি এড়িয়ে যায় তারা সারাজীবনের জন্য জিতে যায়। — ভোলাটিয়ার

নিন্দা মানুষকে কখনই কোন কিছু থেকে মুক্তি দেয়না, বড়ং এটি মানুষকে আকড়ে ধরে এবং তাকে ধ্বংস করে দেয়। — কার্ল জাং

নিন্দা মানুষের সম্মানকে কমাতে থাকে এবং ধীরে ধীরে মুল্যহীন করে তোলে। — অগাস্টিন

সমাজে নিন্দা করার মতো মানুষের অভাব নেই, তবে উৎসাহ দেওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া দূরহ। — নিগেল ফারাজে

নিন্দা মনুষ্যত্বকে মেরে ফেলে, তাই এটি অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ জা কোন মানুষেরই করা উচিত নয়। — ইং কল্বারট

সেই মানুষই জয় লাভ করে যে জীবনে তীব্র নিন্দার ভয় করেনা এবং নিজের পথে এগিয়ে চলতে থাকে। — হেন্স সেইলে

নিন্দা এতই জঘন্য যে এটি মানব চরিত্রকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম। — লি ইন্টস্টিন

একজন নির্দোষের নিন্দা করার চেয়ে দোষী ব্যক্তিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো ভালো। — ম্যাল্কন এক্স

আমাদের সকলের নিন্দার দিকে না ঝুকে উচিত মানুষকে সম্মান করা। — ইগুয়াতিচ অ্যান্টিওচ

একজন জ্ঞানী ব্যাক্তির মাঝে নিন্দা বা প্রজ্ঞার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়না। — গৌতম বুদ্ধ

মানুষ যত নিন্দা করে, নিন্দা মানুষকে ভিতর থেকে ততই নষ্ট করতে থাকে। — ক্রিস জামি

কোন নিন্দুক জান্নাতে প্রবেশ করবে না । — বুখারীর হাদিস

যদি তুমি সৎ হও তবে নিন্দা তোমার কোন অনিষ্টই করতে পারবেনা। — শেখ সাদী

অন্যের গীবত করা কোনো উপকারে আসে না। বরং এটি বর্তমান সময়ে সম্পর্কে দূর্বলতা সৃষ্টি করে।

গীবতের মাধ্যমে আপনি অন্যের ভলে মর্যাদা ভঙ্গ করেন। সম্মান এবং মর্যাদার প্রকৃত ভাষায় যোগাযোগ করা উচিত।

আপনি গীবত করার মাধ্যমে অন্যের বিশেষ করে প্রাইভেসি এবং ব্যক্তিগত তথ্য ধ্বংস করতে পারেন। এটি আপনার বিশ্বাসঘাতক হতে পারে।

গীবতের মাধ্যমে আপনি অন্যের বিরুদ্ধে আপমানিক কথা বলতে পারেন। এটি অত্যন্ত অপকারিতা করতে পারে এবং অন্যের কাছে আপনার প্রত্যাশাগুলি ধ্বংস করতে পারে।

গীবতের মাধ্যমে আপনি অন্যের বিরুদ্ধে অন্যায়ের স্থানে খড়া হতে পারেন। সত্য এবং ন্যায়ের প্রতি মানসিকভাবে জন্মগ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

গীবত করার মাধ্যমে আপনি আপনার সম্পর্কের সাথে অভিযোগ করতে পারেন এবং আপনার সম্পর্ক দুর্বল করতে পারেন। এই প্রকারের সামাজিক আচরণ সমাজের মধ্যে আতঙ্ক এবং বিশেষভাবে মনোনিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।

গীবতের হৃদয় থেকে দূরে থাকার দুর্লভ শক্তি অন্যের সম্মান রক্ষা করে। এই মহৎ ক্ষমতার সাথে একজন ভালো মানুষ হতে চাই।

সত্যি বুদ্ধিমান মানুষ সমস্ত সময় ভালো কথা বলতে দেয়, সময়ে গীবতের মধ্যে সময় নষ্ট করা হয় না।

যদি তোমার মাথায় একটি অবতার থাকে, তবে তুমি অন্যের মন পরিবর্তন করার দায়ী। আসুন বাধ্য করি অভিয়ান করি আমরা সকলেই ভাল কথা বলার।

মানুষের বৃদ্ধির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রভাব হলো গীবত ছাড়াই দূরে থাকা। সমস্ত মানুষের সাথে সম্পর্কে ভালো থাকি।

গীবত একটি নেতিবাচক প্রভাব, যা মানুষের মধ্যে ভীষণ ক্ষতি করতে পারে। ব্যাক্তিত্ব ও সমাজে উন্নতির পথে সামাজিক প্রশিক্ষণ অন্যত্র চিন্তা করুন।

যে কারণে গীবত করা অন্যের জীবনে প্রস্তুত অন্যত্র সময় ব্যয় করতে হয় না। সত্যি বুদ্ধিমান মানুষ সমস্ত সময় ভালো কথা বলতে দেয়।

ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং গোপনীয়তা মানবতার সবচেয়ে মৌলিক মূল্যগুলি। আসুন এই মানসিকতা সমাজে বৃদ্ধি করতে সহায়ক হই।

বিচারের সামঞ্জস্য এবং সমাজের সাথে মিলনসার পরিপ্রেক্ষিতে গীবত নিয়ে কখনোই পর্যাপ্ত হতে পারে না।

একজন ভালো মানুষ হতে চাইলে, গীবতের আবেগ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করুন। ব্যক্তিগত বৃদ্ধির পথে সমাজের সহানুভূতির প্রকাশ করুন।

আমরা সভ্যতা এবং মানসিক উন্নতির মাধ্যমে অগ্রগতি করতে চাইলে, আমাদের একবার মনে রাখা জরুরি যে গীবত করা অপরাধ। আসুন এই অপ্রচুর প্রথার প্রতি দৃষ্টি ক্ষতি নেয়া থেকে বিরত হই।

কখনও অন্যের গোপন জীবনে বিশেষ করে গীবত করা যাবেনা। সমস্ত মানবতার মধ্যে সহানুভূতি এবং প্রেম ছড়িয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা সমাজে ভাল মানুষ হতে চাইলে, গীবত এবং অপরাধ থেকে দূরে থাকতে হবে। আসুন সমস্ত মানবতার সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করা যাক।

আমরা অন্যের গীবত করে কি পেতে পারি? এটি শুধুমাত্র মনোনিবেশ করার প্রয়োজনীয়তা থাকা বিষয়কে দেখায়, এটি আমাদের উন্নতি বা প্রয়োজন নেই।

প্রেম এবং সহানুভূতির বন্ধনে জীবন গুলি সুন্দর এবং সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। কৃপণ গীবতের মধ্যে জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলি চুরি করতে দিয়ে যেতে পারেনা।

যদি সমাজে শ্রেষ্ঠ মানুষ হতে চান, তবে আমাদের সম্পর্ক ভালবাসা, সহানুভূতি এবং গোপনীয়তার ওপর ভিত্তি করা উচিত। আসুন এই মানসিকতা এবং ব্যক্তিগত বিকাশ উন্নত করা যাক।

অন্যের গীবত করা মানবতার স্বভাবিকভাবে নামুদ করে এবং আমাদের শোকর বিপদ সৃষ্টি করে।

গীবত করা অন্যের ভলে প্রচুর মর্যাদা ভঙ্গ করে এবং সম্মানের কথা থাকতে দেয় না।

গীবত করার মাধ্যমে অন্যের নিজস্ব ব্যক্তিগত তথ্য সার্কুলেশনে এসে তাদের গোপন জীবনে ক্ষতি প্রদান করে।

গীবত অন্যের সাথে বিশেষ ভাবে সম্পর্ক গড়তে ব্যাপারে অভিযোগ করার প্রবৃত্তি দেখায়।

গীবত করা সমাজের মধ্যে অবস্থান একটি শ্রেণির লোকের সাথে তা ভালবাসা এবং সহানুভূতির প্রকাশ হয় না।

গীবত করার মাধ্যমে অন্যের বিরুদ্ধে অপমান সৃষ্টি করা হয়, যা সমাজের মধ্যে নেতিবাচকভাবে চিহ্নিত হয়।

গীবত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ করে তাদের সামাজিক মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাস ভাঙ্গতে সাহায্য করে।

গীবত করা ন্যায় সম্মানের ভিত্তিতে বৃদ্ধি করে না, বরং তা সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা মানে অন্যের সাথে ন্যায়ের মধ্যে দুর্বলতা সৃষ্টি করা।

গীবত করা যখন সাম্প্রদায়িক প্রকারে চলমান হয়, তখন সে আমাদের সমাজের সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা তৈরি করে।

আমরা সমাজের ভাল মানুষ হতে চাইলে গীবত বা অন্যায়ের নিকটতমে দৃষ্টিভঙ্গি করবেন না, বরং সম্পর্কে সত্যিকারের এবং সম্মানজনক হবেন।

আল্লাহ তায়ালার জন্য নিয়তকে পরিশুদ্ধ করবে। কথায় ও কাজে মানুষের প্রশংসা পাওয়া কিংবা দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য রিয়া পরিত্যাগ করবে।

যাবতীয় কথা, কাজ ও আচার-আচরণে মুহাম্মদ মাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণ করবে।

আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করবে। যাবতীয় নির্দেশ পালন এবং নিষেধ থেকে দূরে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।

আল্লাহর নিকট খাঁটি ভাবে তওবা করবে। বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

তোমার কথা ও কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সূক্ষ্ম দৃষ্টির কথা স্মরণ রাখবে। জেনে রাখ আল্লাহ্ তোমাকে দেখেন এবং তোমার হৃদয়ের গোপন খবরও তিনি জানেন।

আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ, নবী-রসূলগণের প্রতি এবং শেষ দিবস ও তকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি দৃঢ়ভাবে ঈমান পোষণ করবে।

বিনা দলীলে কারো তাক্বলীদ বা অন্ধ অনুকরণ করবে না।

ভাল কাজে প্রতিযোগিতা করবে।

দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্য পরিত্যাগ করবে। যেমন- কাঁচা পিয়াজ, কাঁচা রসূন। এবং ধুমপান করে নিজেকে এবং মুসলমানদেরকে কষ্ট দিবে না।

জামায়াতের বিশেষ ফজিলত হাসিলের লক্ষ্যে সর্বদা জামায়াতে নামায আদায় করবে।

ফরয যাকাত আদায় করবে। যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রে হক্বদারেদের ব্যাপারে কৃপণতা করবে না।

আগে ভাগে জুমআর নামাযে যাওয়ার চেষ্টা করবে। দ্বিতীয় আযানের পর মসজিদে আসার অভ্যাস পরিত্যাগ করবে।

ঈমানের সাথে আল্লাহর নিকট প্রতিদান পাওয়ার আশায় রমযানের রোযা পালন করবে। এর মাধ্যমে তোমার পূর্বাপর যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

শরীয়ত সম্মত কোন ওজর ব্যতীত রমযান মাসের কোন একটি রোযাও পরিত্যাগ করবে না। অন্যথা গুনাহগার হয়ে যাবে।

রমযানের রাতগুলোতে কিয়াম করবে বিশেষ করে লায়লাতুল ক্বাদরে-ঈমান ও প্রতিদানের আশায় কিয়াম করবে। যাতে করে তোমার পূর্বকৃত পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

যদি সামর্থবান হয়ে থাক তবে দ্রুত হজ্ব-ওমরার উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহর দিকে সফর কর। দেরী করা থেকে সাবধান হও।

পবিত্র কুরআন অর্থসহ পড়ার চেষ্টা কর। কুরআনের আদেশ পালন কর, নিষেধ থেকে দূরে থাক। যাতে করে প্রভুর দরবারে কুরআন তোমার পক্ষে দলীল হয় এবং কিয়ামত ময়দানে তোমার জন্য সুপারিশ করে।

আরও পড়তে:

বোন কে নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন

সেরা কিছু উক্তি, যা আপনার জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে!

সেরা ভালোবাসার স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, উক্তি, কবিতা ও ছন্দ

ইসলামিক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, উক্তি ও পিকচার

কষ্টের স্ট্যাটাস – Koster Status | স্ট্যাটাস, উক্তি ও ক্যাপশন

প্রবাসীদের কষ্টের স্ট্যাটাস, উক্তি, কবিতা ও গল্প

শেষ কথা

আজকের গীবত নিয়ে উক্তি আপনাদের কেমন লাগলো? আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের ভালো লাগলেই আমাদের লেখাগুলো স্বার্থকতা পায়।
ধন্যবাদ।

About Durud Ahmed

সম্মানিত ভিজিটর আমি দুরুদ আহমেদ,পেশায় আমি একজন ব্লগ লেখক। প্রযুক্তি ও শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, লাইফস্টাইল এবং ইসলামিক লেখাই আমার প্রিয়। এই ব্লগের মাধ্যমে আমি সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভিজিটরদের সহযোগিতা করাই মূল লক্ষ্য।