পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা

সম্মানিত পাঠক, এই নিবন্ধে আমরা পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা সর্ম্পকে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনি যদি পহেলা বৈশাখের উক্তি অনলাইনে অনুসন্ধান করেন তাহলে এই নিবন্ধ হতে পহেলা বৈশাখের উক্তি সংগ্রহ করতে পারবেন। অত্যন্ত যত্নসহকারে আমরা পৃথিবীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি গুলো এই নিবন্ধে একত্রিত করেছি।

আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার পছন্দ মতো লাইন সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করি পহেলা বৈশাখ নিয়ে আজকে এই পোষ্টটি আপনাদের পছন্দ হবে এবং আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী এই পোষ্ট হতে নিয়ে কপি পেষ্ট করতে পরবেন।

পহেলা বৈশাখ

বছরের প্রথম দিনটি হলো পহেলা বৈশাখ। এদিন পুরাতন কে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় শুরু করা হয়। প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে এদিন ভালো খাবারের ব্যাবস্থা করা হয় এবং নানান ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে দিনটিকে পালন করা হয়। এই দিনটি উপলক্ষে রমনার বটমূলে সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট সহযোগিতা মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রা কে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে আখ্যায়িত করে।

মোগল সম্রাট আকবরের সময় কাল হতে পহেলা বৈশাখ পালনের সূচনা হয়। ঐ সময় মোগল সম্রাটগণ ফসল হিসেবে এক নতুন সালের প্রত্যাবর্তন করেন। ফসলি সালেই পরবর্তীতে বাংলা সাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পহেলা বৈশাখের দিন অর্থাৎ প্রথম দিন তাদের যাবতীয় খাজনা পরিশোধ করে নেয়। এ উপলক্ষে মোগল সম্রাটগণ প্রজাদের বিভিন্ন রকম ভাবে আপ্যায়ন করেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ থেকেই মূলত পহেলা বৈশাখের উৎপত্তি। এভাবে পর্যায়ক্রমে পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি

পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি

এখন আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি গুলো। আমরা সবাই চাই বছরের প্রথম দিনটি-তে সামাজিক মাধ্যমে কিছু শেয়ার করতে। কিন্তু কি করবো বা কি লিখবো তা খুঁজে পাই না। তাই আপনাদের কথা মাথা রেখে আজকের এই আয়োজন। চলুন শুরু করা যাক।

হে কুমার, হাস্যমুখে তোমার ধনুকে দাও টান ঝনন রনন, বক্ষের পঞ্জর ভেদি অন্তরেতে হউক কম্পিত সুতীব্র স্বনন। হে কিশোর, তুলে লও তোমার উদার জয়ভেরী, করহ আহ্বান। আমরা দাঁড়াব উঠি, আমরা ছুটিয়া বাহিরিব, অর্পিব পরান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চাব না পশ্চাতে মোরা, মানিব না বন্ধন ক্রন্দন, হেরিব না দিক গনিব না দিন ক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার উদ্দাম পথিক। মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্ততা উপকণ্ঠ ভরি খিন্ন শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কারলাঞ্ছনা উৎসর্জন করি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি শরমের ডালি, নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের ধূমাঙ্কিত কালি, লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি ক্ষুদ্র ভগ্ন অংশ ভাগ, কলহ সংশয় সহে না সহে না আর জীবনেরে খণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

যে পথে অনন্ত লোক চলিয়াছে ভীষণ নীরবে সে পথপ্রান্তের এক পার্শ্বে রাখো মোরে, নিরখির বিরাট স্বরূপ যুগযুগান্তের। শ্যেনসম অকস্মাৎ ছিন্ন করি ঊর্ধ্বে লয়ে যাও পঙ্ককুণ্ড হতে, মহান মৃত্যুর সাথে মুখামুখি করে দাও মোরে বজ্রের আলোতে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তার পরে ফেলে দাও, চূর্ণ করো, যাহা ইচ্ছা তব ভগ্ন করো পাখা। যেখানে নিক্ষেপ কর হৃত পত্র, চ্যুত পুষ্পদল, ছিন্নভিন্ন শাখা, ক্ষণিক খেলনা তব, দয়াহীন তব দস্যুতার লুণ্ঠনাবশেষ, সেথা মোরে ফেলে দিয়ো অনন্ততমিস্র সেই বিস্মৃতির দেশ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নবাঙ্কুর ইক্ষুবনে এখনো ঝরিছে বৃষ্টিধারা বিশ্রামবিহীন, মেঘের অন্তর-পথে অন্ধকার হতে অন্ধকারে চলে গেল দিন। শান্ত ঝড়ে, ঝিল্লিরবে, ধরণীর স্নিগ্ধ গন্ধোচ্ছ্বাসে, মুক্ত বাতায়নে বৎসরের শেষ গান সাঙ্গ করি দিনু অঞ্জলিয়া নিশীথগগনে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে পাতা কুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে। কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে ভূমিহীন মনুমিয়া গাইবে তৃপ্তির গান জ্যৈষ্ঠে-বৈশেখে, বাঁচবে যুদ্ধের শিশু সসন্মানে সাদা দুতে-ভাতে।
হেলাল হাফিজ

সে পূর্ণ উদাত্ত ধ্বনি বেদগাথা সামমন্ত্রসম সরল গম্ভীর সমস্ত অন্তর হতে মুহূর্তে অখণ্ডমূর্তি ধরি হউক বাহির। নাহি তাহে দুঃখসুখ পুরাতন তাপ-পরিতাপ, কম্প লজ্জা ভয় শুধু তাহা সদ্যঃস্নাত ঋজু শুভ্র মুক্ত জীবনের জয়ধ্বনিময়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হে নূতন, এসো তুমি সম্পূর্ণ গগন পূর্ণ করি পুঞ্জ পুঞ্জ রূপে ব্যাপ্ত করি, লুপ্ত করি, স্তরে স্তরে স্তবকে স্তবকে ঘনঘোরস্তূপে। কোথা হতে আচম্বিতে মুহূর্তেকে দিক্ দিগন্তর করি অন্তরাল স্নিগ্ধ কৃষ্ণ ভয়ংকর তোমার সঘন অন্ধকারে রহো ক্ষণকাল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমার ইঙ্গিত যেন ঘনগূঢ় ভ্রূকুটির তলে বিদ্যুতে প্রকাশে, তোমার সংগীত যেন গগনের শত ছিদ্রমুখে বায়ুগর্জে আসে, তোমার বর্ষণ যেন পিপাসারে তীব্র তীক্ষ্ণ বেগে বিদ্ধ করি হানে- তোমার প্রশান্তি যেন সুপ্ত শ্যাম ব্যাপ্ত সুগম্ভীর স্তব্ধ রাত্রি আনে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এবার আস নি তুমি বসন্তের আবেশ হিল্লোলে পুষ্পদল চুমি, এবার আস নি তুমি মর্মরিত কূজনে গুঞ্জনে- ধন্য ধন্য তুমি! রথচক্র ঘর্ঘরিয়া এসেছ বিজয়ীরাজ-সম গর্বিত নির্ভয় বজ্রমন্ত্রে কী ঘোষিলে বুঝিলাম, নাহি বুঝিলাম, জয় তব জয়!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হে দুর্দম, হে নিশ্চিত, হে নূতন, নিষ্ঠুর নূতন, সহজ প্রবল, জীর্ণ পুষ্পদল যথা ধ্বংস ভ্রংশ করি চতুর্দিকে বাহিরায় ফল, পুরাতন পর্ণপুট দীর্ণ করি বিকীর্ণ করিয়া অপূর্ব আকারে তেমনি সবলে তুমি পরিপূর্ণ হয়েছ প্রকাশ প্রণমি তোমারে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমারে প্রণমি আমি, হে ভীষণ, সুস্নিগ্ধ শ্যামল, অক্লান্ত অম্লান। সদ্যোজাত মহাবীর, কী এনেছ করিয়া বহন কিছু নাহি জান। উড়েছে তোমার ধ্বজা মেঘরন্ধ্রচ্যুত তপনের জলদর্চিরেখা করজোড়ে চেয়ে আছি উর্ধ্বমুখে, পড়িতে জানি না কী তাহাতে লেখা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ, পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায় ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন? নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন? কতোটা জীবন!
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী এমন কোথায় খুঁজে পেলে। তপ্ত ভালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি এল গভীর ছায়া ফেলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই যে তোমার বক্ষে দেখি, ওরই লাগি আসন পাতো হোমহুতাশন জ্বেলে। নিঠুর, তুমি তাকিয়েছিলে মৃত্যুক্ষুধার মতো তোমার রক্তনয়ন মেলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভীষণ, তোমার প্রলয়সাধন প্রাণের বাঁধন যত যেন হানবে অবহেলে। হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আশার ভাষা উঠল বেজে, দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বীণাতন্ত্রে হানো হানো খরতর ঝংকারঝঞ্ঝনা, তোলো উচ্চসুর। হৃদয় নির্দয়ঘাতে ঝর্ঝরিয়া ঝরিয়া পড়ুক প্রবল প্রচুর। ধাও গান, প্রাণভরা ঝড়ের মতন ঊর্ধ্ববেগে অনন্ত আকাশে। উড়ে যাক, দূরে যাক বিবর্ণ বিশীর্ণ জীর্ণ পাতা বিপুল নিশ্বাসে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আনন্দে আতঙ্ক মিশি, ক্রন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহারবে ঝঞ্ঝার মঞ্জীর বাঁধি উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে। ছন্দে ছন্দে পদে পদে অঞ্চলের আবর্ত-আঘাতে উড়ে হোক ক্ষয় ধূলিসম তৃণসম পুরাতন বৎসরের যত নিষ্ফল সঞ্চয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মুক্ত করি দিনু দ্বার– আকাশের যত বৃষ্টিঝড় আয় মোর বুকে, শঙ্খের মতন তুলি একটি ফুৎকার হানি দাও হৃদয়ের মুখে। বিজয়গর্জনস্বনে অভ্রভেদ করিয়া উঠুক মঙ্গলনির্ঘোষ, জাগায়ে জাগ্রত চিত্তে মুনিসম উলঙ্গ নির্মল কঠিন সন্তোষ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি।
ক্ষণা

চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে ভাদ্রে তালের পিঠা। আর্শ্বিনে ওল, কার্তিকে কৈয়ের ঝুল।
ক্ষণা

চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে।
ক্ষণা

চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
ক্ষণা

মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
ক্ষণা

শুনরে বেটা চাষার পো, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো। আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি। হলুদ রোলে অপর কালে, সব চেষ্টা যায় বিফলে।
ক্ষণা

বৈশাখের প্রথম জলে, আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
ক্ষণা

পৌষের কুয়াশা বৈশাখের ফল। য-দ্দিন কুয়াশা ত-দ্দিন জল। শনিতে সাত মঙ্গলে তিন। আর সব দিন দিন।
ক্ষণা

এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়।
মাকসুদ

হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
শাহানারা রশিদ

ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন।
সংগৃহীত

এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার।
সংগৃহীত

শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান।
সংগৃহীত

কী যে খুঁজি, নিজেই পাই না বুঝে হেলায় ভুলে, খেয়াল খুলে দেয়াল মরি জুঝে। আমার দিন কেটে যায় খুঁজে!
সংগৃহীত

অপেক্ষা একটি রাত্রিশেষের অপেক্ষা একটি সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন নতুনত্বের সময় যখন একটি নববর্ষের।
সংগৃহীত

এক হালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার টাকা। গ্রামের মৃৎশিল্পীর পণ্য, বাঁশ ও বেতশিল্পীর কাজ, বিন্নি ধানের খই, সাজ-বাতাসার ব্যবসায়ীদের কী হবে? নিজেকে গ্রাম্য ও রক্ষণশীল পরিচয় দিতে আমার লজ্জা নেই। বৈশাখী মেলায় ঘুরে কেনাকাটার যে আনন্দ হোম ডেলিভারি তে কি তার চেয়ে বেশি সুখ?
সৈয়দ আবুল মকসুদ

আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমাদের আরও পোষ্ট পড়তে:

জসীম উদ্দীন এর উক্তি ও কবিতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি, বাণী, কবিতার ক্যাপশন ও কবিতা

কাজী নজরুল ইসলাম এর সেরা কিছু বাণী বা উক্তি ও কবিতা

হুমায়ুন ফরিদীর উক্তি (Quote by Humayun Faridi)

হুমায়ুন আহমেদ এর উক্তি

পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্ট্যাটাস

এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করবো পহেলা বৈশাখ এর স্ট্যাটাস নিয়ে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার উপযোগী কিছু স্ট্যাটাস। তাহলে চলুন পড়ে নেয়া যাক।

যেটুকু ভুল ছিল সুধরে নিব, না পাওয়ার কষ্ট টুকু ভুলে যাব, সবারে বাসবো ভাল, এ প্রত্যয়ে শুরু হোক নতুন বছর।
শুভ নববর্ষ

আবার আসবে বৈশাখ মাস, চৈত্রের অবসানে। নববর্ষের নতুন হাওয়া, উষ্ণতা দিবে প্রানে। মনের সকল গ্লানি ভুলে, জিবন নতুন ভাবে গড়বে, আবার নতুন সপ্ন দেখবে নববর্ষের টানে।
শুভ নববর্ষ

নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো।
শুভ নববর্ষ

নতুন পোশাক নতুন সাজ।
নতুন বছর শুরু আজ।
মিষ্টি মন,
মিষ্টি হাসি,
শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি।
শুভ নববর্ষ

তুমি সুন্দর, সুন্দর তোমার মন, তার চেয়ে সুন্দর হোক তোমার জীবন, পাশে থাকুক তোমার সকল আপনজন।
শুভ নববর্ষ

কথার শেষে নতুন বেশে আসছে কোন ভেলা আনন্দে ভেসে। নতুন বছর আসছে প্রকৃতির মাঝে, তাই তো মন সেজেছে রঙিন বেশে।
শুভ নববর্ষ

জাগুক হৃদয়েতে নব আনন্দ, সঙ্গীতে দাও নতুন ছন্দ, দুর করে দিয়ে সকল দুঃখ, আস হে নতুন আস।
শুভ নববর্ষ

তোমার জন্য সকাল-দুপুর,
তোমার জন্য সন্ধা,
তোমার জন্য সকল গোলাপ এবং রজনীগন্ধা।
তোমার জন্য সব সুর তোমার জন্য ছন্দ।
নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ।
শুভ নববর্ষ।

কাটবে রাত,
আসবে প্রভাত।
যাক পুরাতন,
যাক মুছে যাক সব দুঃখ।
নতুন বছর,
নতুন আশা,
সঙ্গে থাকুক ভালবাসা।
শুভ নববর্ষ

রেশমী চুরি আর রঙিন শাড়ি।
ইলিশ ভাজি আর পান্তা হাড়ি।
ঢাক ঢোল আর তবলা।
নতুন সাজে সাজল বাংলা।
এলরে পহেলা বৈশাখ।
শুভ নববর্ষ

নতুন আশা নতুন প্রাণ,
নতুন হাসি নতুন গান,
নতুন সকাল নতুন আলো,
নতুন দিন হোক ভালো,
দুঃখকে ভুলে যাই,
নতুনকে স্বাগত জানাই।
শুভ নববর্ষ

পানতা ইলিশ আর ভরতা বাঙ্গালীর প্রাণ
নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান
এসো হে বৈশাখ এসো এসো।
শুভ নববর্ষ

নিশি যখন ভোর হবে।
সুখ তারা নিভে যাবে,
আসবে একটা নতুন দিন,
দুঃখ হতাশা যাও ভুলে,
হাসি আনন্দ নিও তুলে,
বছরটা হোক অমলিন।
শুভ নববর্ষ

বাউল গানের সন্ধ্যা তালে নতুন বছর এসেছে ঘুরে, উদাসী হাওয়ার সুরে সুরে রাঙ্গা মাটির পথটি জুড়ে।
শুভ নববর্ষ

নীল আকাশের মেঘের ভেলায়,
ঘাসের উপর শিশির কনায়,
প্রজাপতির রঙ্গীন ডানায়,
ফালগুনের ফুলের মেলায়,
একটা কথা তোমাকে জানাতে চাই।
শুভ ১ লা বৈশাখ।

নববর্ষ সর্বদাই ছোটদের কাছে আনন্দের এক নাম। এই দিনে ছোটরা নতুন নতুন পোশাক পরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকে। আর সেই সকল কচি কাচাদের জন্য জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা।

চৈত্রের রাত্রি শেষে,
সূর্য আসে নতুন বেসে,
সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো,
মুছে দিক তোমার জীবনের সকল কালো।

পুরনো যত হতাশা, দুঃখ, অবসাদ, নতুন বছর সেগুলোকে করুক ধূলিসাৎ। সুখ, আনন্দে মুছে যাক সকল যাতনা।
শুভ পহেলা বৈশাখ।

বছর শেষে ঝরা পাতা বলল উড়ে এসে,
একটি বছর পেরিয়ে গেল হাওয়ার সাথে ভেসে।
নতুন বছর এসেছে, তাকে যত্ন করে রেখো,
স্বপ্ন গুলো সত্যি করে খুব ভাল থেকো।
শুভ নববর্ষ।

বিদায় নিল আজ পুরনো বছরের সূর্য।
আসবে নতুন সকাল,
নতুন দিন, নতুন স্বপ্ন, নতুন আসা।
আর নতুন হোক আজকের ভালবাসা।
শুভ নববর্ষ

নতুন সূর্য, নতুন প্রাণ।
নতুন সুর, নতুন গান।
নতুন ঊষা, নতুন আলো।
নতুন বছর কাটুক ভাল।
কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ।
শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্যাপশন

আমাদের সবারই ইচ্ছা থাকে নতুন বছরের শুরুতে কিছু ক্যাপশন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিতে। কিন্তু মন মতো কিছু পাই না তাই আর দেয়াও হয় না। তাই আমরা আজ আমাদের সেই সকল বন্ধুদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্যাপশন। চলুন এই ক্যাপশন গুলো পড়ে নেয়া যাক।

বৈশাখের মেলাতে
ঘুরতে ফিরতে
উঠতে বসতে
ধরতে ছাড়তে,
দেখি কত যুবতী
হাসছে গাইছে
কেনাকাটা করছে
খাচ্ছে দাচ্ছে
কোমড় দুলিয়ে হাঁটছে!

বৃষ্টি বিহীন, বৈশাখী দিন
দমকা বায়ে, নূপূর পায়ে
যখন আসে, গন্ধ ভাসে!
পাকা আমের কালো জামের
সঙ্গে লিচু, আরো কিছু
ফলের সাথে সবাই মাতে!
আসলে ঝড়, কন্ঠ স্বর
হয়রে ভারী, তবুও আড়ি
ভাঙে ঘর, ভাঙে চর
কান্না বাড়ে, নদীর পাড়ে!

পহেলা বৈশাখের এই নবীন প্রভাতে
প্রাণে জাগুক নব নব আশা,
পহেলা বৈশাখের আজিকে সবাই
নিও মোর প্রীতি ও ভালবাসা!

বৈশাখী মেলা চলে সারা বেলা লাগিয়া গিয়াছে ধুমধাম,
মানুষের ঢল চল চঞ্চল ছোটে দিবা নিশি অবিরাম।
পুরুষে নারীতে সারিতে সারিতে একাকার হয়ে আজ,
উল্কির ঘটা মস্তকে জটা সাজিয়েছে কেউ মহারাজ।

বৈশাখ মানেই মায়ের হাসি কৃষক বধুর চপল চোখ, বৈশাখ মানেই প্রাণের পরশ ছোট্ট আমার বাংলামুখ। বৈশাখ মানেই উথাল-পাথাল নাইচা নাইচা বাউল গান, বৈশাখ মানেই বাংলা শিশুর ছোট্ট গালে মিষ্টি প্রাণ।বৈশাখ মানেই পাগলা হাওয়া আকাশ জুড়ে মেঘলা দিন, বৈশাখ মানেই তোমার কাছে আমার কিছু জমলো ঋণ। বৈশাখ মানেই তোমার খোঁপায় বেলি ফুলের প্রিয় মালা, বৈশাখ মানেই তোমার চোখে ভালোবাসার নিত্য জ্বালা।

চক্ষে আমার তৃষ্ণা, ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে। আমি বৃষ্টিবিহীন বৈশাখী দিন, সন্তাপে প্রাণ যায় যে পুড়ে।

এসেছে বৈশাখ
দামাল হাওয়া জানান দেয় বৈশাখ যে দ্বারে
পিছন ফিরে চেয়ে দেখি বসন্ত যায় চলে
আমের শাখে গুটি দেখি, কাঠালবাগান ইচড়,
দামাল হাওয়া আর জানান দেয় পাপিয়া, চাতক খেচর।
চৈত্রের সেই কাঠফাটা রোদ, চৌচির মাঠ ঘাট
চৈতালি শেষে বৈশাখেতেও বসে মেলা-হাট।
হিমচাঁপা আর কৃষ্ণচূড়ায় নন্দিত দৃষ্টি,
জারুল পানে শান্তি আসে প্রতীক্ষাতে বৃষ্টি।
বৃক্ষ তলে শান্তি মিলে
রাখাল বাজায় বাঁশি-বাউলেরা গান ধরে।

আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

এসেছে বৈশাখ তোমাদের দ্বারে, দিও না ফিরিয়ে খালি হাতে তারে ভুলে যেও যত যাতনা দিয়েছি তোমারে পাঠালাম শুভেচ্ছা অঞ্জলি পেতে রেখে দিও স্মরণে হৃদয়ের তরে।

বাজে ঢোল বাজে ঢাক
ঐ এলো বৈশাখ!
মেলা হবে খেলা হবে
হবে কবি গান
বৈশাখে বাঙালির নাচে মন প্রাণ!
মন নাচে প্রাণ নাচে
হাসে কবি গুরু
ঝড় এলে বুক কাঁপে
ভয়ে দুরু দুরু!

বৈশাখ এলো ক্ষিপ্ত বেগে
সিঁদুর মেঘের গায়,
বৈশাখ এলো উগ্রতা নিয়ে
কৃষ্ণ মেঘের ন্যায়!
বৈশাখ এলো কাল বৈশাখীর
হাওয়ায়-হাওয়ায় ধেয়ে,
বৈশাখ এলো বাউলের বেশে
বৈশাখী গান গেয়ে!

এলো নতুন বছর তোমায় নিয়ে ঘুরে বেড়াবো তেপান্তরে তুমি কি তাতে রাজি আছো প্রিয়। পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা

মাঘে সুখী, ফাল্গুনে সুখী, চৈত্রে খা খা আর বৈশাখে টলমলে।

বৈশাখের প্রথম জলে আশুধান দ্বিগুণ ফলে।

এই পহেলা বৈশাখে সাদা শাড়িতে, লাল গোলাপে মানিয়েছে বেশ ভালোই, চলো এবার ঘুরে বেড়াই মেলাতে গিয়ে।

বছর ঘুরে এলো আনন্দের দিন, পলাশ শিমুলের গাছে লেগেছে আগুন তাইতো বৈশাখের কাল বৈশাখী ঝরে সবাইকে দিল ভিজিয়ে।

পুরনো সেই দুঃখ, অবসাদ, হতাশা পিছনে ফেলে আজ এই পহেলা বৈশাখে আনন্দে মুছে যাক পুরোনো দিনের সব স্মৃতি গুলো।

এই পহেলা বৈশাখে তোমার পরনে লাল শাড়ি আর মাথায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের মালা দেখে আমি যেন অবাক হয়ে শুধু তোমার দিকেই তাকিয়ে থাকি।

আমার দেওয়া সাদা শাড়ি পড়ে আর লাল ফুলের তোড়া মাথায় দিয়ে আজ এই পহেলা বৈশাখের দিনে তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবো।

এই পহেলা বৈশাখে তোমার সাথে প্রথম দেখায় তোমার প্রেমে আমি পাগল হয়ে গেছি তুমি কি আমায় গ্রহণ করে নেবে।

এই পহেলা বৈশাখের দিব্যি দিলাম তোমায় ভুলে যেও না মোরে, তুমি মোর পাশে থাকলে কে মোদের আটকায়।

ভুল কে আজ দাও ছুটি, বিবাদ কে আজ দাও বিদায়।
মনকে আজ শুদ্ধ কর, শত্রুকে আজ বন্ধু কর।
এই সময় এই ক্ষন, পাবে তুমি কতক্ষন
আসো তবে হাত মিলাই, মনের সাথে মন মিলাই,
ভালোবাসায় ধন্য হোক জীবন,
শুভ হোক তোমার আমার পহেলা বৈশাখ।

হাসি দুঃখ গ্লানি,
ছিল আছে থাকবে।
নতুন বছরের শুভদিন,
আসবে কাছে ডাকবে।
ঐসব গ্লানি ভূলে গিয়ে,
নাও মনে ঐ ডাক।
জানাই হে প্রিয় সকলকে।
শুভ পহেলা বৈশাখ।

মুছে যাক সকল কলুষতা শান্তির বার্তা নিল খামে
পাঠালাম সুদিনের সুবাতাস তোমায় দিলাম।
শুভ পহেলা বৈশাখ

ঢাক ঢোল মাদলের তালে, রং বেরঙের মনের দেয়ালে
বাঙালি সংস্কৃতি উজ্জীবিত থাক যুগে যুগে।
শুভ পহেলা বৈশাখ

দিন যদি চলে যায় দিগন্তের শেষে
রাত যদি চলে যায় তারার দেশে
ভেবো না বন্ধু, আমি থাকবো তোমাদের পাশে।
শুভ পহেলা বৈশাখ

বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর!
গ্রীস্মের আগমনে রোদেলা দুপুর!
বর্ষার আগমনে সাদা কাঁশফুল!
তাই তোমায় উইশ করতে মন হলো বেকুল!
শুভ পহেলা বৈশাখ

উদীত রবির প্রথম আলো, দূর করবে সকল কালো।
মাতবে মন আনন্দ ধারায়, সবাই হবে বাধন হারা।
দিনটি হোক তোমার তরে, মন ভরে উঠুক খুশির জরে।
শুভ পহেলা বৈশাখ

পহেলা বৈশাখ নিয়ে কবিতা

আমরা বাঙালি জাতি। পহেলা বৈশাখ এর আনন্দ উদযাপন এর পাশাপাশি কবিতা পড়তে অনেকেই আমরা ভালোবাসি। কবিতা প্রেমিকদের জন্য নিম্নে কিছু বৈশাখ নিয়ে কবিতা তুলে ধরা হলো।

এসো হে বৈশাখ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এসো এসো এসো হে বৈশাখ
তাপ সনিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষের দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দুর হয়ে যাক
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি,
অশ্রু বাষ্প সুদূরে মিলাক!

মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুজ্মটিজাল যাক দূরে যাক!

হে বৈশাখ

শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া (জয়)

বৈশাখ মানে
ঝড়ো হাওয়া কলি-পুষ্পের মেলা,
বর্ষবরণ ফুলে-ফুলে কত-শত খেলা।
লাল-সাদা রঙ্গে-অঙ্গে বৈশাখীরও রং,
সেজে-বেজে কীর্তনখোলা বাজে ঢং-ঢং।

বৈশাখ মানে
শিশু-কিশোর দোলছে নাগর দোলা,
নীলাকাশে রঙিন ঘুড়ি ছুটাছুটির খেলা।
পান্তা-ভাতে নুনেরছিটে ইলিশ মাছে ভাজা,
স্বজন মিলে ভোজন করে ঐতিহ্যকে খোঁজা।

বৈশাখ মানে
ভেদাভেদ ভুলে উৎসবে মুসলিম-হিন্দু,
আনন্দ ভাগাভাগি নাও করে বিন্দু-বিন্দু।
নৌকা বাইচে লোকগান গাহে ডাক-হাঁক,
জাতি মোরা বাঙ্গালী এসো হে বৈশাখ।

বৈশাখ

সুজন ইসলাম

রাত পোহালে আসবে তুমি,
কাঙ্ক্ষিত সেই নববর্ষ।
তোমাকে জানাই আমর,
হৃদয় ভরা স্বাগত।
সব অতিত ভুলে গিয়ে
হাসি মাখা থাক মুখে।
নয়ন ভরা খোয়াব নিয়ে,
এগিয়ে চলো সম্মুখে।
সাদা কালো দিন ছেড়ে,
এসেছে রঙ্গিন দিন।
আগামীর দিন গুলি হোক,
নব বধুর ন্যায় মলিন।
আকাশের নীল রঙ,
ধবল কালো মেঘ মিলে।
হয়ে গেছে একাকার,
সেজেছে আপন মনে।
ফুটেছে নতুন ফুল,
যৌবন ফিরে পেয়েছে নদী।
কাল বৈশাখী ঝড়ে,
কাঁচা আমের ছড়াছড়ি।
নদীতে ভাসছে হংসমিথুন,
স্রোতে খেলছে হেলেদুলে।
বৈশাখের দোল লাগিয়ে,
পঙ্খিরা পাখা মেলে।

আসলো বৈশাখ মাস

মোঃ খুরশিদ আলম

আসলো বৈশাখ মোদের মাঝে
একটি বছর ঘুরে
বাংলার আকাশ বাতাস যে তাই
গান গাইছে সুরে সুরে
চৈত্রের খরা পেরিয়ে এবার
আসলো বোশেখ মাস
নতুন সাজে সাজলো যে তাই
বাংলার মাঠ ঘাস
নবান্নের উৎসবে মেতেছে কিষান
সব যাতনা ভুলে
গাছের ডালে পাখ পাখালিরাও
দেখো নাচছে দুলে দুলে
পুরান দিনের হিসাব চুকে আজ
খুলেছে নতুন খাতা
পেছনের সব গ্লানি মুছে দিতে
দেখো চলছে হালখাতা।

আমাদের আরও পোষ্ট পড়তে:

সুন্দর ফেসবুক স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন, কবিতা, কিছু কথা ও ছন্দ

রবি মিনিট চেক করার নিয়ম ২০২৪ | রবি মিনিট চেক কোড

অবাক করা ফেসবুক স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন, কবিতা ও কিছু কথা

সিঙ্গেল ফানি স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, কবিতা ও কিছু কথা

বসন্তের রোমান্টিক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, উক্তি, ছন্দ ও কবিতা

শেষ কথা

আজকের পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা শিরোনামের পোষ্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো? আশা করি ভালো লেগেছে। আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাতেই আমাদের লেখা স্বার্তকতা পায়।
ধন্যবাদ।

Scroll to Top